বিশ্বভারতীতে ব্রাত্য রবীন্দ্রনাথ! ফলকে নাম মোদির ও উপাচার্যের

দেবজিৎ মুখার্জি, বীরভূম: ফলক জুড়ে নাম প্রধানমন্ত্রী, উপাচার্যর। ব্রাত‌্য রবীন্দ্রনাথ। আর সেই ফলক দেখেই নিন্দার ঝড় উঠল বিশ্বভারতীতে। রবীন্দ্রনাথের পথ অনুসরণ করেই ১৩৫ বছর ধরে ঐতিহ্য নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে শান্তিনিকেতন। আর ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্য স্বীকৃতির পর বিশ্বভারতীর হেরিটেজ ফলকে আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী ও উপাচার্যর নাম। শুক্রবার উপাসনা গৃহ, রবীন্দ্রভবন, কলাভবন, সংগীত ভবন, ছাতিমতলা-সহ অন্যান্য আশ্রম প্রাঙ্গণে শ্বেত পাথরের ফলক বসানো হয়। সেখানে উল্লেখ করা রয়েছে ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্য সাইট। আর সেই ফলকে রবীন্দ্রনাথের নাম না থাকায় স্বভাবতই পড়ুয়া, প্রাক্তনী আশ্রমিকরা ক্ষুব্ধ। ১৭ সেপ্টেম্বর ইউনেসকো শান্তিনিকেতনকে বিশ্ব হেরিটেজ তকমা দিয়েছে। বিশ্বে এই প্রথমবার একটি চালু বিশ্ববিদ্যালয়কে ইউনেসকো থেকে হেরিটেজ স্বীকৃতি দেওয়া হয়। আর এই স্বীকৃতির কৃতিত্ব নিতে ফলক লাগাল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।

    যদিও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কোনও উদ্বোধনী ফলক বা কোনও স্বীকৃতি ফলক বসানোর রীতি নেই। সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই নামের বিজ্ঞাপনের জন্যই এই ফলক বসিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এমনই অভিযোগ করছেন বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী ও প্রবীণ আশ্রমিকরা। আর রীতি ভেঙে উপাচার্যর বিশ্ব হেরিটেজ প্রাপ্তির ফলক বসানোর মধ্যে সস্তা প্রচার ও সুপ্ত রাজনীতির বহিঃপ্রকাশই দেখছেন রবীন্দ্রপ্রেমীরা। যা নিয়ে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। সমালোচনার ঝড়ও উঠতে শুরু করেছে। বিশ্বভারতীর কর্মীদের একাংশ বলছে, ‘‘ফলক থেকেই ব্রাত্য স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ। এটাও দেখতে হল।’’ অন্যদিকে ঠাকুর পরিবারের সদস্য সুপ্রিয় ঠাকুর আক্ষেপ করে বলেন, ‘‘এটা নতুন কিছু নয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোনও আদর্শটাকেই মানা হয় না এখন বিশ্বভারতীতে। নিন্দার ভাষা নেই।’’