|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : ঘড়িতে বেলা সাড়ে ১১টা। থমকে থাকা গাড়ির সারি ধর্মতলা মোড় থেকে পার্ক স্ট্রিট উড়ালপুলে উঠেগিয়েছে। সারি সারি গাড়ির মধ্যে আটকে রোগী নিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সও। একই অবস্থা চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, এস এন ব্যানার্জি রোডেও। দীর্ঘক্ষণ ধরে সেখানেও থমকে গাড়ির চাকা।অনেককেই গাড়ি থেকে নেমে হাঁটতে দেখা গেল। নিরাপদ মনে করে কেউ আবার ধরে নিলেন ‘পাতাল পথ’।
সৌজন্যে, শনিবারের সকালে রানি রাসমণি রোডের সমাবেশ। যার জেরে এ দিন ভোগান্তিরশিকার হলেন অসংখ্য মানুষ। দুপুর গড়িয়ে প্রায় বিকেল পর্যন্ত সেই ভোগান্তির রেশ থাকল। যানজটে কাউকে গাড়ির ভিতরে থাকতে হল ঘণ্টাখানেক। কেউ আবার অন্য উপায়ে গন্তব্যে পৌঁছলেন অনেকটা দেরিতে। কেউ কেউ সময় পেরিয়ে যাওয়ায় উল্টো দিকে ঘুরে বাড়ির পথ ধরতে বাধ্য হলেন।যানজটে এ দিন আটকে থাকে রোগী-সহ অ্যাম্বুল্যান্সও। চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ-সহ একাধিক রাস্তায় দেখাগিয়েছে সেই ছবি। যা দেখে এক পুলিশকর্মী বললেন, ‘‘জিলিপির প্যাঁচের মতো সব দিকে গাড়ি। কোনও মতে এর মধ্যে থেকে অ্যাম্বুল্যান্সগুলিকে বার করার চেষ্টা করছি। গাড়ির মধ্যে আটকে রোগীদের কষ্ট চোখে দেখা যায় না।’’
এ দিন বেলার দিকে রানি রাসমণি রোডে একটি সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়। যে কারণে সকাল থেকেই গাড়ির চাপ বাড়তে থাকে। বেলা ১১টার পর থেকে ধর্মতলা চত্বর কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে যায়। সমাবেশে যোগ দিতে গাড়িতে এবং হেঁটে বহু মানুষ রানি রাসমণি রোডের দিকে এগোতে থাকেন। বেলা গড়াতেই কার্যত থমকে যায় মধ্য কলকাতা। ভিড় সামলাতে পুলিশ রাস্তায় ব্যারিকেড করে। ধর্মতলা সংলগ্ন রেড রোড, মেয়ো রোড, জওহরলাল নেহরু রোড,এস এন ব্যানার্জি রোড, লেনিন সরণি-সহ বিভিন্ন রাস্তা দীর্ঘক্ষণ রুদ্ধহয়ে থাকে।এ দিন বাস থেকে নেমে অনেককেই মেট্রো ধরতে দেখা যায়। তাঁদেরই এক জন কৌশিকভট্টাচার্য বলেন, ‘‘রাস্তার যা অবস্থা, বাসের ভরসায় থাকলে বিকেলেও মনে হয় না পৌঁছতে পারব। তাই মেট্রোয় যাচ্ছি।’’ এ দিকে, ট্রেন বাতিলের জেরে শিয়ালদহ এবং হাওড়া স্টেশন থেকে শহরে ফিরতেও ভোগান্তিতে পড়েন বহু মানুষ। ব্যাগ নিয়ে দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় আটকে থাকতে হয় তাঁদের।বিকেলের পর থেকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।
যদিও কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্তার দাবি, ‘‘আগে থেকেই রাস্তায় অতিরিক্ত ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছিল। এ দিন বিভিন্ন রাস্তায় গাড়ি ঘুরিয়ে যানজট নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়েছে আমাদের তরফে।’’