|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা :ভক্তদের কাছে রামকৃষ্ণ দেব ঠাকুর আবার সাধক, তবে রামকৃষ্ণ দেব অত্যন্ত ভোজন রসিক ছিলেন। খেতে খুব ভালবাসতেন তিনি সাথে মানুষকে খাওয়াতেও ভালবাসতে। তবে পেট রোগা থাকার কারণে গুরু পাক খাবার খেতেন না, একমাত্র সারদা মায়ের হাতের রান্না করা খাবার খেতেন তিনি। এমনকি দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের ভোগের খিচুড়ি খেতেন না, মন্দির কর্তৃপক্ষ থেকে তাকে যে ভোগের খিচুড়ি দেওয়া হতো তা তিনি জনসাধারণের মধ্যে বিলিয়ে দিতেন। সন্দেশ ছিল তার খুব পছন্দের মিষ্টি, জিলাপি ও বোদে খেতে খুব ভালবাসতেন। লুচি পরোটা ছিল তার পছন্দের সেরা খাবার। কচুরি ছিল তাঁর পছন্দের তালিকায় সব থেকে প্রিয়। ঠাকুর গঙ্গার জল পান করতেন বলে, সব সময় তার পেটের সমস্যা লেগেই থাকতো। ইচ্ছা থাকলেও সব সময় সবকিছু খেতে পারতেন না তিনি। আমিষ খাবারকে তিনি কোনদিনও বর্জন করতে বলেননি, জ্যান্ত মাছের ঝোল ছিল তার প্রিয়। ছোট মাছের ঝোল খেতে খুব ভালোবাসতেন তিনি। তবে সবচেয়ে আক্ষেপের বিষয় শেষের দিকে তিনি শারীরিক অসুস্থতার কারণে ঠিকমতো খাবার খেতে পারেননি। এতটাই অসুস্থ ছিলেন তিনি যে শেষ দশ মাস মুখে ভাত তুলতে পারেননি। আজ তার কৃপায় প্রচুর অভুক্ত মানুষের পেট ভরে খাওয়া সম্ভব হয়। আজও রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব প্রাসঙ্গিক, সংসারে থেকে সংসার করে কিভাবে ঈশ্বরের আরাধনা করা যায়, ঈশ্বরকে ভালোবাসা যায় সেই পথ তিনি আমাদের দেখিয়ে দিয়েছেন।