রান্নায় ব্যাস্ত গৃহনীকে ২১ শে জুলাইয়ের গুরুত্ব বোঝাচ্ছেন কেরিমা

আজিজুর রহমান,গলসি : দলীয় নির্দেশে গ্রামে গ্রামে তৃণমুলের কর্মী বৈঠক, মিছিল ও সভা হচ্ছে কদিন ধরে। তাছাড়া ব্লক থেকে অঞ্চলে অঞ্চলে লিখন চলছে জোর কদমে। তবে গলসি ১ নং ব্লকের সুন্দলপুরে গ্রামের মহিলা তৃণমূল কর্মী কেরিমা বেগম একটু অন্যভাবে ২১ শে জুলাই এর প্রচার করছেন। তিনি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ২১ শে জুলাইয়ের গুরুত্ব বোঝাচ্ছেন এলাকার মহিলাদের। কেরিমা জানিয়েছেন, এবারে ২১ শে জুলাই এলাকার একদল মহিলা তার সাথে ধর্মতালায় যাবেন। সেইজন্যই তিনি বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করছেন। জানতে পারা গেছে, তিনি পঞ্চায়েত সদস্য বা দলীয় কোন পদে নেই। আর পাঁচটা কর্মীর মত তিনিও দলের একজন সাধারণ কর্মী। ২১ শে এর প্রচারে তাকে কখনও পাশের খাঁরজুলি গ্রামের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের সাথে তো কখনও পাড়ার মহিলাদের কাছে চাটাই পেতে কথা বলতে দেখা গেছে। স্থানীয় বাসিন্দা সোমা বেগম বলেন, কেরিমা বেগম কদিন ধরেই এলাকার বিভিন্ন মানু‌ষের বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন। আজ সকালেই তার বাড়িতে এসে তাকে ২১ শে জুলাই এর গুরুত্ব বোঝাচ্ছিলেন। সম্ভব হলে ওই দিন তাকে ধর্মতলায় যেতে অনুরোধ করেছেন। গ্রামবাসী আসমা বেগম বলেন, কেরিমা সব কাজে গ্রামের সব মহিলাকে সহযোগিতা করেন। আপদে বিপদে পাশে দাঁড়ান। কাল তাদের পাড়ায় এসে ২১ শে জুলাই কোলকাতায় যেতে তাদের অনুরোধ করছেন। তিনি বলেন, বিধবা ভাতার জন্য তাদের গ্রামের মারিয়া বিবি, নুরনেশা বিবি, রামিশা বিবি সহ বেশ কয়েকজন বয়স্ক মহিলা বার বার পঞ্চায়েতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ভাতা এর কাজ হচ্ছিল না। তারপর কেরিমা তাদের গলসি ১ নং বিডিও অফিসে নিয়ে গিয়ে বিধবা ভাতা করে দেন। নাজমুন্নেশা বেগম ও রিম্মা বাউরীরা বলেন, কেরিমা দি যেখানে বলেন সেখানই আমরা যায়। কারন আমাদের সকল স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের তিনি সবরকম ভাবে সহযোগিতা করেন। কদিন আগে আমরা একটি মিছিলে গিয়েছিলাম। আবার আমরা অনেকজন মিলে কোলকাতার সভায় যাবো। পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, কর্মীদের কাজই হল ২১ শে জুলাইয়ের গুরুত্ব মানুষকে বলা। দলে সবাইতো পদ পায় না। সবাই পঞ্চায়েত সদস্য হয়না। দলকে ভালবাসার লোক প্রচুর আছে। যারা তৃণমূলকে ভালবাসে তারা তাদের দায়িত্ব এইভাবেই পালন করে। তিনি বলেন, আমাদের বুথ স্তরের সকল কর্মীরা আমাদের সম্পদ। এদের জন্যই দল টিকে আছে। মমতা ব্যানার্জ্জী মুখ্যমন্ত্রী এদের জন্যই হয়েছেন। তাছাড়া এই রকম কর্মী গোটা পশ্চিমবঙ্গের কোনায় কোনায় ও বুথে বুথে আছে। আর সবার উচিত এমন ভাবে দলের কাজ করা।