পাঠ্য পুস্তক অনুদান পেয়েও দাবী জানাল চাঁচল কলেজের পড়ুয়ারা

উজির আলী, নতুন গতি, চাঁচলদুস্থতা আজও বহন করে। কেউ ক্ষুধায়,আবার কেউ শিক্ষায়। সোমবার এমনই দৃশ্য ধরা পড়ল আমাদের নতুন গতির ক্যামেরায়।

    এদিন চাঁচল কলেজের অস্বচ্ছলতা ছাত্রছাত্রীদের মাঝে পাঠ্য পুস্তক বিতরণ করেন তৃনমুল পরিচালিত ছাত্র সংগঠন।

    জানা যায়, এদিন প্রথম বর্ষ থেকে চুড়ান্ত বর্ষের সমস্ত বিভাগের সর্বমোট ২০০ জন দুস্থ ও মেধাবী শিক্ষার্থীকে বিনামুল্যে পাঠ্য পুস্তক বিতরণ করা হয়। পাঠ্য পুস্তক অনুদান পেয়েও এদিন আরেক দাবী জানিয়েছেন পড়ুয়ারা।

    প্রসঙ্গত, পোশাক- পরিচ্ছেদ, স্বভাব-আচরন বর্তমানে সমাজে স্বচ্ছলতা- অস্বচ্ছলতা সম দৃষ্টিতে দেখা যায়। ডিজিটাল ভারতে দুস্থদের চেনা ভার। আজকের সমাজে নিজের চাহিদা পূরনে দুস্থ ছাত্র-ছাত্রীরা অনুদান চাইতে অক্ষমতা বহন করে।

    সূত্রের খবর, চাঁচল কলেজে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ছয় হাজার। কেউ ধনী পরিবার, মধ্যবিত্ত, আবার কেউ দুস্থ পরিবার থেকেও এই কলেজে পাঠরত। উচচ শিক্ষা অর্জনে প্রচুর ব্যয় হয়। সম্ভাব্য ২৫ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী দুস্থ পরিবার থেকেই পাঠরত।
    এদিন বিন্যামূল্যে পাঠ্যপুস্তক পেয়ে পড়ুয়ারা আনন্দিত হয়ে ওঠলেও, বিমর্ষে দাবী করেগেলেন।

    এদিন কলেজ ক্যাম্পাসে দাবী জানালেন পড়ুয়ারা। ছাত্র সংগঠনের কাছে তাদের দাবী ছিল দুস্থ ছাত্র ছাত্রীদের চিহ্নিত করে
    পাঠ্য পুস্তক বিতরনের মতো কলেজে ভর্তির ফি ও পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপে দুস্থদের আর্থিক সহযোগীতা করা। ফর্ম ফিলাপ ও ভর্তি জোগাড়ে হিমশিম অনেকে বিচ্ছিন্ন হচ্ছে শিক্ষাজগৎ থেকে বলে দাবী তাদের।

    এপ্রসঙ্গে, তৃনমুল ছাত্র পরিষদের বর্তমান কার্যনির্বাহক সভাপতি বাবু সরকার জানান, আমরা কলেজ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাব। দুস্থদের আর্থিক দিকটা দেখে ভর্তি থেকে শুরু করে ফর্ম ফিলাপ বিষয়টি খরচ নিয়ে আমরা ছাত্র সংগঠন আলোচনায় বসব।