|
---|
লুতুব আলি : রিভিউ করে হাই মাদ্রাসা বোর্ডের মাধ্যমিকের দশম স্থান পেল তানিয়া সুলতানা। পূর্ব বর্ধমান জেলার খণ্ডঘোষের নিশ্চিন্তপুর হাই মাদ্রাসার ছাত্রী তানিয়া সুলতানার রিভিউ এরপর প্রাপ্ত নাম্বার হল ৭৬৩ তানিয়াকে নিয়ে মোট তিনজন দশম স্থান পেল। তানিয়া বর্তমানে কলকাতায় রিপন স্ট্রিটের জিডি একাডেমিতে সাইন্স নিয়ে একাদশ শ্রেণীতে পড়ছে। ২৬ জুলাই তানিয়া সুলতানার রিভিউ এর মার্কশিট নিশ্চিন্তপুর হাই মাদ্রাসায় আশায় আলোড়ন পড়ে যায়। রিভিউ এর আগে তানিয়ার প্রাপ্ত নাম্বার ছিল ৮০০ এর ভিতর ৭৫৭ বোর্ডের ভুলের কারণে তানিয়া সুলতানা প্রকৃত আনন্দ থেকে বঞ্চিত হল এবং তাকেই এই ভুলের মাশুল গুনতে হল বলে অনেকে মনে করছেন। নিশ্চিন্তপুর হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মোঃ উজির আলী বলেন, হাই মাদ্রাসার সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষা কর্মীরা তানিয়া সুলতানের বাবা মোল্লা হাসিবুর রহমান এই মাদ্রাসার পার্শ্ব শিক্ষক তার হাতে রিভিউ হওয়া মার্কশিট তুলে দেন। সঙ্গে সিম্বলিক হিসাবে একটি চারা গাছও তাকে প্রদান করা হয়। রিভিউ হওয়া মোট ৮০০ মধ্যে তানিয়া সুলতানার প্রাপ্ত নাম্বার গুলি বাংলায় ৯৩, ইংরেজিতে ৮৬, গণিতে ৯৮, প্রাকৃতিক বিজ্ঞানে ৯৭, জীবন বিজ্ঞানে ১০০, ইতিহাসের ৯৭ ও ভূগোলে ৯৬ এবং ইসলামিক পরিচয়ে ৯৬ তানিয়া সুলতানা বর্তমানে কলকাতায় জিডি একাডেমিতে থাকার কারণে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি তার বাবা মোল্লা হাসিবুর রহমান বলেন, তানিয়ার মাসিক খাবারের টাকা জোগাড় করতেই তিনি হিমশিম খেয়ে যাচ্ছেন। তানিয়া সুলতানা রাজ্যের মধ্যে দশম স্থান অর্জন করল জিডি কর্তৃপক্ষ যদি তার মাসিক খাবারের ব্যবস্থাটাকে মুকুব করে দেন তার জন্য তিনি আবেদন জানিয়েছেন। তানিয়া সুলতানের মা আনোয়ারা বেগম নিশ্চিন্তপুর হেল্প সেন্টার এর আশা কর্মী ও তার বাবা পার্শ্ব শিক্ষক সামান্য আয় এ পড়াশোনা চালাতে তিনি হিমশিম খেয়ে যাচ্ছেন। তানিয়ার দিদি, তামান্না ইয়াসমিন বর্ধমান মেডিকেল কলেজে বিএসসি নার্সিং এ পাঠরত। দুই মেয়েকে সামান্য আয়ে কিভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যাবেন তার জন্য তানিয়ার বাবা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। এখানকার প্রধান শিক্ষক মোঃ উজির আলী বলেন, তানিয়া বরাবরই কৃতি ছাত্রী। পড়াশুনা ছাড়াও সে খেলাধুলা, বিতর্ক সভায় অংশ নেওয়া, নাটক, কবিতা আবৃত্তিতে বিশেষ পারদর্শী ছিল। বিদ্যালয় স্তরে ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় রাজ্যস্তরে তানিয়া অনেক পদক অর্জন করেছে।