অনুষ্ঠিত হয়ে গেল রহমতে আলম মিশনের প্রাক্তনীদের পুনর্মিলন উৎসব-২০১৯

নিজস্ব সংবাদদাতা :

    সাড়ম্বর পূর্ণ জাঁকজমক সহকারে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল রহমতে আলম মিশনের প্রাক্তনিদের বাৎসরিক পুনর্মিলন উৎসব-২০১৯। রবিবারের সারাদিনই মিশন প্রাঙ্গন ছিল প্রাণচাঞ্চল্যে উৎসব-মুখর। পুরাতনি বন্ধুত্ব ও মিশনের টানে দূর দূর জেলাগুলো থেকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রায় চার শতাধিক প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী উপস্থিত হয় রহমতে আলম মিশন প্রাঙ্গনে ‘রি-ইউনিয়ন-২০১৯’ উপলক্ষে।

    মিশনের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের সংগঠন ‘রহমতে আলম অ্যালুমনি অ্যাসোসিয়েশন’ সারাদিন ব্যাপী একগুচ্ছ কর্মসূচির আয়োজন করে। উক্ত দিনে সকালে আয়োজিত বিনাব্যায়ে চক্ষু পরীক্ষা শিবিরে স্থানীয় মানুষ ও ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিপুল পরিমানে সাড়া পরে। এর মাধ্যমে প্রায় তিন শতাধিক মানুষ উপকৃত হয়। প্রাক্তন বনাম বর্তমান ছাত্রদের মধ্যে ফুটবল ম্যাচ এবং প্রাক্তন ছাত্র বনাম শিক্ষক দের মধ্যে ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজিত হয়। সেইসঙ্গে মুকাভিনয়, নাটক, ক্যুইজ, সংগীত, আবৃত্তি, হাস্যকৌতুক সহ এক বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার মাধ্যমে উৎসব সমাপ্ত হয়। প্রাক্তনিদের আমন্ত্রণে উপস্থিত ছিলেন মিশনের সমস্ত শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী, জিডি মনিটরিং কমিটির সদস্য সইদুল খান, স্থানীয় বিধায়ক রহিমা মন্ডল সহ আরো অনেকে। প্রাক্তনিদের পক্ষ থেকে এই বছর ‘শিক্ষক সম্মাননা’ পান দুই শিক্ষক সন্দীপ মল্লিক মহাশয় এবং আব্দুল লতিফ মহাশয়। অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে দুঃস্থ ছাত্রছাত্রীদের হাতে স্কলারশিপ তুলে দেন অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক এবি সিদ্দিক। অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক স্বর্গীয় সিরাজুল ইসলাম মহাশয় ও সহ-সভাপতি স্বর্গীয় আব্দুর রশিদ মহাশয়ের পরিবারের হাতে ‘মরণোত্তর সম্মাননা’ তুলে দেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তথা বিডিও সামিরুল ইসলাম। মিশনের বর্তমান সম্পাদক আনিসুর রহমান বলেন-“ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনা শেষে সশরীরে মিশন ত্যাগ করলেও তাদের মন মিশন ত্যাগ করেনি, মিশনের প্রতি ভালোবাসার টানেই তারা বারংবার মিশনে ছুটে আসে”। রি-ইউনিয়ন নিয়ে প্রাক্তনিদের উৎসাহ ছিল তুঙ্গে। মিশনের প্রাক্তনি তথা অ্যাসিস্ট্যান্ট রেভিনিউ অফিসার হাসানুল ইসলাম বলেন “পুরানো বন্ধুদের সাথে দেখা করার জন্য সারা বছর ধরে এই দিনটির অপেক্ষায় থাকি”। অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম সদস্য সুমিতুল কামাল এর কথায় “রাজ্য সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা প্রাক্তনিদের একত্রিত করার আয়োজন করতে পেরে আমরা খুশি”।