চাকরির জন্য টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ রুকবানুর রহমানের বিরুদ্ধে

নিজস্ব সংবাদদাতা : চাকরির জন্য টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ রুকবানুর রহমানের (Rukbanur Rahman) বিরুদ্ধে। টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ চাপড়ার তৃণমূল বিধায়ক রুকবানুরের (TMC MLA Rukbanur Rahman) বিরুদ্ধে। তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) চিঠি। আপার প্রাইমারিতে (Upper Primary) চাকরির নামে ২৪ লক্ষ টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ। তৃণমূল বিধায়ক রুকবানুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ৫ চাকরিপ্রার্থীর। তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি। টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার চাপড়ার তৃণমূল বিধায়কের। কল্যাণী এইমসে অবৈধভাবে চাকরি দেওয়ার অভিযোগে, ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে CID। বাঁকুড়ায় বিজেপি বিধায়কের মেয়েকে আড়াই ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিআইডির। একাধিক বিজেপি বিধায়কের বাড়িতে গিয়ে পরিজনদের জিজ্ঞাসাবাদও করেছেন তদন্তকারীরা। আর এদিনই চাপড়ার তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে, আপার প্রাইমারিতে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ সামনে এল। অভিযোগকারী ও চাকরিপ্রার্থীর মা মহিনুর বিবি, বলেন, “আমি তো টাকা দিয়ে এলাম সাড়ে ১০টার সময়। তারপর ৩ বছর ঘোরাল, চাকরি দেব, চাকরি দেব করে, দিল না। রুকবানুর রহমান কিছুই দিল না আমাকে।’’ চাপড়ার পীতাম্বরপুরের বাসিন্দা জামশেদ আলি মণ্ডলের অভিযোগ, ২০১৬ সালে, তিনি-সহ ৫জন যুবককে আপার প্রাইমারিতে চাকরি দেওয়ার নামে, মোট ২৪ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন এলাকার বিধায়ক রুকবানুর রহমান। কিন্তু, ৫ বছরেও চাকরি মেলেনি। অভিযোগ, তা সত্ত্বেও টাকা ফেরত দেননি বিধায়ক। গোটা বিষয়টি জানিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছেন চাকরিপ্রার্থী।SSC-র নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। শুধু তাই নয়, দুর্নীতির অভিযোগে হাইকোর্টের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদ থেকে সরানো হয়েছে মানিক ভট্টাচার্যকে। চাকরির নামে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বিরুদ্ধেও। ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখা তাঁকে তলবও করেছে। আর এবার চাপড়ার তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ সামনে এল। যদিও রুকবানুর রহমান তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তৃণমূল বিধায়কের কথায়, “একটা কথা বলতে পারি, রুকবানুর রহমান কারও থেকে টাকা নেয়নি। যদি এই অভিযোগ থাকেও, তাহলে আমি যে কোনও তদন্তের জন্য তৈরি আছি। অভিষেক বা দিদির কাছে যে কেউ অভিযোগ জানাতে পারে, কেউ যদি আমাকে ডাকে আমি নিশ্চয়ই উত্তর দেব।’’