লেখক সোনিয়া তাসনিমকে ঘিরে কিছু অজানা কথা

নিউজ ডেস্ক: লেখক সোনিয়া তাসনিম। ২৮ শে নভেম্বর, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় সময়ের জনপ্রিয় এই লেখক ও কলামিস্টের জন্ম। জন্ম ঢাকায় হলেও লেখকের জীবনের বর্ণিল শৈশব কেটেছে নয়নাভিরাম পাহাড়ি কন্যা চট্টগ্রামের কোলে। বাবা আবুল মনসুর মোঃ আনোয়ারুল হামিদ খান এবং মা ফিরোজা বেগমের তিনি প্রথম সন্তান। শিক্ষাগত জীবনে তিনি ঢাকার ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যবসায় প্রশাষণ বিভাগে স্নাতক এবং পরবর্তীতে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। ব্যবসায় প্রশাষণের বিভিন্ন বিষয়ের ওপরও দেশে এবং বিদেশে বেশ কয়েকটি ট্রেনিং কোর্স সম্পন্ন করেছেন তিনি।

    লেখালেখির প্রতি লেখকের তীব্র আকর্ষণ ছেলেবেলা থেকেই। অমর একুশে বইমেলা ২০২০ এ তাঁর রচিত গল্পগ্রন্থ “মায়ের গয়নার বাক্স” দিয়ে লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ। ২০২১ এ উপন্যাস “অসমাপ্ত” ২০২২ এ কেনিয়া ভয়ংকর” ও “আগন্তুক” এবং পরবর্তীতে “ফোর্থ ফ্লোর” প্রকাশিত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের স্বনামধন্য প্রকাশনী “উদার আকাশ” থেকেও প্রকাশিত হয়েছে তার মৌলিক গল্পগ্রন্থ “বিস্তীর্ণ জলছবি”। যা দুই বাংলায় দারুণ ভাবে পাঠক প্রিয়তা অর্জন করে নিয়েছে। প্রকাশ হবার অপেক্ষায় রয়েছে আরও বেশ কিছু গ্রন্থ।

    মৌলিক লেখার পাশাপাশি, দুই বাংলা সহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও ম্যাগাজিনেও লেখকের প্রকাশিত অনেক লেখা পাঠক সমাজে ব্যাপক ভাবে সমাদৃত হয়েছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বিভিন্ন পত্রপত্রিকা সহ পশ্চিমবঙ্গের অত্যন্ত জনপ্রিয় দৈনিক “পূবের কলম” এবং ফ্রান্সের প্যারিস থেকে প্রকাশিত “প্যারিস টাইমস” এ তিনি একজন নিয়মিত লেখক হিসেবেই লিখে যাচ্ছেন। নিযুক্ত রয়েছেন ইউ. কে সরকারের এর অনুমোদন প্রাপ্ত এবং ইউ. কে থেকে সম্প্রচারিত “দ্য গ্লোবাল টিভি” র সহকারী প্রযোজক এবং Center For Creative Youth Of Bangladesh (CCYB) এর গুডউইল অ্যাম্বাসেডর হিসেবে। তরুণ প্রজন্মকে বইমুখী করে তোলার জন্য সদা সচেষ্ট এই সাহিত্যানুরাগী নিজেকে নিয়োজিত করছেন বই এর প্রচারণা সংক্রান্ত বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে। একজন জীবনবাদী, বহুমাত্রিক লেখক পরিচয়ের পাশাপাশি নিজেকে একজন পাঠক হিসেবে সকলের সামনে তুলে ধরতেও তিনি ভীষণ ভালোবাসেন।

    পশ্চিমবঙ্গের “উদার আকাশ” প্রকাশনী থেকে “ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সম্মাননা” চাতক ফাউন্ডেশন” থেকে “ভারত-বাংলাদেশ সাহিত্য সম্মেলন” এ “চাতক সাহিত্য সম্মাননা ২০২২” এবং বাংলাদেশ থেকে কথাসাহিত্যিক হিসেবে “ফ্রেন্ডস অব হিউমিনিটি অ্যাওয়ার্ড ২০২২” ও “দৈনিক বাঙ্গালীর কন্ঠ পুরস্কার ২০২৩”অর্জন করেছেন।

    ভবিষ্যত পরিকল্পনায় তিনি লেখালেখির চর্চা সমুন্নত রাখার পাশাপাশি বাংলা সাহিত্যাঙ্গনে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে যাবার জন্য দৃঢ় ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ।