|
---|
মোহাঃ কামরুজ্জামান, কালিয়াচক,মালদা ,নতুন গতি :
খোদ রাজধানী দিল্লিতে নিজের মা,বাবা এবং বোনকে হত্যাকরে গ্রেপ্তার এক যুবক(১৯)। সে PUBG গেম খেলার নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছিলো। তার জন্যই সে মাঝে মাঝে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার নাম করে এক ঘর ভাড়া নিয়ে সেখানেই থাকতো এবং সেখান থেকে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতো। একজন বিশিষ্ট পুলিশ আধিকারিক জানান সুরজ ওরফে বর্মা বুধবার ভোর বেলায় তার পিতা মিথিলেশ, মা শিয়া এবং বোনের নির্মম ভাবে হত্যা করে। তরফ বাড়িতে সে ভাঙচুর করে তাতে কোনো তদন্তকারী মনে হবে এখানে লুটপাট হয়েছে। কিন্তু বুধবার সন্ধার দিকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেন।
পুলিশ জানায় যে এই ঘটনায় যুবকের কোনো আফসোস নেই এবং সে বারবার একই কথা বলে যে ‘দয়া করে আইনের হাত থেকে আমাকে রক্ষা করুন।’ শুক্রবার মিথিলেশের পরিবার(ভাই,ভাতিজা) তাদের অন্তিম সংস্কার করেন। মিথিলেশের ভাই পুলিশকে বলেন যে, সুরোজকে যেন এই অন্তিম সংস্কারে শামিল না করা হয়। পুলিশ তদন্ত করতে গিয়ে এক রহস্য খুঁজে পান যে সুরোজ এক হোয়্যাটসেপ গ্রূপের সঙ্গে যুক্ত। আর তাতে মেয়ে বন্ধু সহ প্রায় ৯/১০ জন মেম্বার রয়েছে। আর তাতেই তার বাড়ি থেকে হারিয়ে যাওয়া আর আড্ডা দেওয়ার কথা ফাঁস করা হয়েছে।
সুরজ প্রথমে তার বাবাকে মেরে ফেলে তারপর তার মাকে শেষে বোনকে। সূত্রে জানা যায় তারা যন্ত্রনায় ছটফট করতে করতে মারা যায়। সুরোজ তাদের হত্যা করার পর সেখান থেকে সমস্ত প্রকার চিহ্ন মিটিয়ে দিতে সক্ষম হয়। এবং সে যে দোকান থেকে একটু ছুরি কিনেছিল সেখান থেকে খবর পাই যে সে হুক্কা এবং ড্রাগসের নেশায় আসক্ত ছিলো।
সুরোজ দুইদিন আগেই মোহরাওলি এলাকা থেকে ছুরি এবং কাঁচি কিনে এনেছিলো। সে হত্যা করার পর সমস্ত চিহ্ন মিটিয়ে কাপড় ধুয়ে পরিষ্কার করে ফেলেছিলো। সে বলে যে আমি দেরী করে বাড়ি ফিরতাম এবং বন্ধুদেরও সঙ্গে আনতাম তখন বিশেষ করে আমার বাবা আমাকে প্রায় বকাঝকা করতো। এমনকি মাঝে মাঝে মেরেও দিতো। সুরোজ নেশায় বিভোর থাকতো এবং সে ১২শ্রেণীতে পাস করতে পারেনি। পুলিশ জানান ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন ঘরের দরজা ভেতর থেকে লক করা ছিলো। ঘরের জিনিসপত্র ছিন্নভিন্ন থাকলেও এটা কোনো লুটপাটের মামলা নয়। নিশ্চয় সুরোজ পুলিশদের বিভ্রান্ত করার জন্যই এই ঘটনা সাজাই।