|
---|
মহম্মদ রাইহানুল হক, নতুন গতি : আজ মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্রুত স্থাপন ও পৃথক ক্যাম্পাসের দাবিতে ‘ ফোরাম ফর ইউনিভারসিটি ইন মুর্শিদাবাদ ( ফাম) এর ডাকে ‘মানববন্ধন’ হয়ে গেলো বহরমপুর টেক্সটাইল মোড়ে।জেলার বিভি ন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন পেশায় যুক্ত শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গ এই মানববন্ধনে প্ল্যাকার্ড, ফফেস্টুন সহযোগে যোগদান করেন।ফোরামের সভাপতি আইনজীবী মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের জানালেন, ” মুর্শিদাবাদের পার্শ্ববর্তী প্রতিটি জেলায় দুই বা ততোধিক বিশ্ববিদ্যালয় থাকলেও প্রায় ৮০ লক্ষ জনগণের জেলায় একটাও বিশ্ববিদ্যালয় না দিয়ে স্বাধীনতার ৭২ বছরে শুধুই বঞ্চনা দিয়ে গেছে। যে মুর্শিদাবাদ একদিন বাংলা বিহার উড়িষ্যার রাজধানী ছিলো, সেটা এখন লেবার সাপ্লাইয়ের জেলায় পরিণত করে রেখেছে সরকার। বহু আন্দোলনের পরে প্রায় ৮ মাস আগে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষণা হলো সেটা আবার একটা কলেজে ক্যাম্পাসের মধ্যে! এটা রসিকতা ছাড়া আর কী হতে পারে? আমাদের দাবি পৃথকভাবে অতিদ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপন করা হোক। বিশেষ করে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে জেলার মাঝামাঝিতে। যাতে সমগ্র জেলাবাসীর যোগাযোগের সুবিধা হয়।”
উপস্থিত সমাজকর্মী শুভঙ্কর সরকার বললেন, ” সরকার নাকি আজকাল গুরুত্বপূর্ণ ফাইল হারিয়ে ফেলছে। ৮ মাস আগের ফাইল বের করে অথবা নতুনভাবে বিল পাশ করে দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় দিক।ভোটের বাজারে হিন্দু মুসলিম দ্বন্দ্ব না করে আমাদের দাবিকে প্রতিষ্ঠিত করুক।” ফামের অন্য এক সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্রুত বাস্তবায়ন না করা হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা দিলেন।
আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর এবং দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করা ছাত্র ইমদাদুল হক জানালেন , “বিশ্ববিদ্যালয় তাঁর জেলাতেই থাকলে তাঁকে হাজার হাজার টাকা খরচ করে বাইরে যেতে হতো না।অনেকের মেধা থাকলেও সুযোগ এবং টাকার অভাবে মাঝপথেই পড়াশোনা ছেড়ে দিতে বাধ্য হতো না।”
এখন জেলাবাসীর একটাই অপেক্ষা, ভোট রাজনীতির ঊর্ধে উঠে কবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। নাকি শুধুই অপেক্ষাই রয়ে যাবে?