|
---|
আবু সালেহ মুসা, বারাসাত: আজ ফুরফুরা শরীফ সম্প্রীতি সংরক্ষন মঞ্চের উদ্যোগে পীর আবু বকর মেমোরিয়াল গ্রামীন হাসপাতালকে সুপার স্পেশালিস্ট হাসপাতালে রুপান্তরিত করার দাবীতে একটি জনসভা ও ইফতার মজলিস হয় হাসপাতাল সংলগ্ন ময়দানে । উক্ত সভায় আমন্ত্রিত প্রধান অতিথি ছিলেন ফুরফুরা শরীফ আহলে সুন্নাতুল জামাতের কর্নধার পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী ভাইজান। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, এই গ্রামীন হাসপাতাল ১৯৪৯ সালে দাদা হুজুর পীর কেবলা (রহ:) এঁর স্মরনে তাঁর সুযোগ্য সাহেবজাদা বড় হুজুর পীর কেবলা (রহ:) প্রতিষ্টা করেন। এবং তৎকালীন হেলথ ডিরেক্টর এ. সি চ্যাটার্জী উদ্বোধন করেন। হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যই ছিল এলাকার মানুষের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া। সেই মহান উদ্দেশ্যকে সাফল্যমন্ডিত করার জন্য এলাকাবাসী প্রচুর জমি দান করেছিলেন। বর্তমানে সেই স্বাধীনতার পরবর্তী সর্বপ্রথম বাংলার গ্রামীন হাসপাতাল রুগ্ন অবস্থায় ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে স্থান পেতে চলেছে। তিনি এই অবস্থার জন্য স্থানীয় প্রসাশনের ভূমিকার প্রশ্ন তোলেন এবং বলেন যে এই হাসাপাতাল সুুপার স্পেশালিস্ট হাসপাতাল হওয়ার কথা ছিল। সেই হাসপাতাল সরকারি উদাসীনতায় শেষ হতে বসেছে।
তিনি বলেন আগামী দিনে যদি পীর আবুবকর মেমোরিয়াল হাসপাতালকে সুপার স্পেশালিস্ট হাসপাতালে রুপান্তরিত না করা হয় তাহলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে স্থানীয় জনতা।
সভার শেষে পবিত্র ফুরফুরা শরীফের সাম্প্রদা়য়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য শান্তির বার্তা দেন এবং বিশ্ব মানব কল্যানের জন্য দোওয়া করেন।
উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন ফুরফুরা শরীফ আহলে সুন্নাতুল জামাতের কর্নধার পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী ভাইজান ও ফুরফুরা শরীফ সম্প্রীতি সংরক্ষন মঞ্চের সম্পাদক জাহাঙ্গীর বাদশা সিদ্দীকি ও আব্দুর রহমান এছাড়া অধ্যাপক নাজিম রহমান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ শামসুর রহমান মল্লিক সাহেব।