|
---|
সেখ মহম্মদ ইমরান, মেদিনীপুর: করোনা আবহে খুব বেশি বড় আকারের রক্তদান শিবির না হবার কারণে রাজ্যের বেশিরভাগ ব্লাড ব্যাংকেই কমবেশি রক্তের সংকট চলছে। মেদিনীপুর ব্লাড ব্যাংকও তার ব্যতিক্রম নয়। তাই মাঝে মাঝেই সমস্যায় পড়ছেন রোগীর বাড়ির লোকেরা। এভাবেই বুধবার সকালে সমস্যায় পড়েন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতার সন্ধিপুর এলাকার থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশু, দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী বছর সাতেকের অনন্যা সরকারের বাবা বাবলু সরকার ও মা সুমিত্রা সরকার। শিশুটির জন্য “ও” পজেটিভ রক্তের প্রয়োজন ছিল। শিশুটির পরিবার পরিজনের মাধ্যমে শিশুটির রক্তের জরুরী প্রয়োজনের খবর মেদিনীপুর কুইজ কেন্দ্রের সদস্য, রক্তদান আন্দোলনের কর্মী শিক্ষক স্নেহাশিষ চৌধুরী মারফৎ পৌঁছায় রক্তদান আন্দোলনের কর্মী কুইজ কেন্দ্রের সদস্য শিক্ষক সুদীপ কুমার খাঁড়ার কাছে। স্নেহাশিসবাবুর কাছ থেকে রক্তের জরুরী প্রয়োজনের কথা জানতে পেরে সুদীপবাবু তৎক্ষণাৎ যোগাযোগ করেন তাঁর পূর্ব পরিচিত যুবক সুশোভন সেনের সাথে। খবর পেয়ে ঘন্টাখানেকের মধ্যে ব্লাড ব্যাংকে গিয়ে রক্তদান করেন পেশায় গৃহশিক্ষক তথা “কলেজের বন্ধুরা” গ্রুপের সদস্য সুশোভন সেন।
অন্যদিকে বুধবারই মেদিনীপুরে চিকিৎসাধীন শালবনীর মৌপালের ভুরষা গ্রামের গৃহবধূ শিউলি ঘোষের চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে বি পজেটিভ রক্তের প্রয়োজন পড়ে। রক্তের এই প্রয়োজনের খবর রোগীর পরিবার পরিজন সূত্রে সমাজকর্মী সৈয়দ হামিদুল্লা ও অসীম বাগ মারফৎ পৌঁছায় কুইজ কেন্দ্রের সদস্য সমাজকর্মী শিক্ষক সুদীপ কুমার খাঁড়ার কাছে। সুদীপবাবু রক্তের প্রয়োজনের বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করলে,তাতে কমেন্ট করে রক্তদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেন সমাজকর্মী ওয়াসিম আহমেদ। কমেন্ট সূত্রে সুদীপবাবু ওয়াসিমবাবুর সাথে যোগাযোগ করলে ঘন্টা খানেকের মধ্যে ব্লাড ব্যাংকে গিয়ে রক্তদান করেন ওয়াসিম বাবু।
উভয় রোগীর বাড়ির লোকেরা উভয় রক্তদাতাকে ও রক্তদাতা খোঁজার কাজে যুক্ত সমস্ত ব্যাক্তিবর্গকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। রক্তদান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষক সুদীপ কুমার খাঁড়া ও স্নেহাশিষ চৌধুরী বলেন, সবাই এই ভাবে এগিয়ে এলে, রক্তসংকটের এই সমস্যা কিছুটা হলেও মিটবে। নেটিজেনরা এমন মহৎ কাজের প্রশংসা করেছেন।