|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : বিশ্বভারতীর ওয়েবসাইটে বাঙালি জাতিকে ভন্ড, অলস, কাঁকড়ার জাত, ভীতু এবং বালিশের তলায় মুখ লুকানো জাতি হিসেবে সম্বোধন করে একটি চিঠি আপলোড করা হয়েছে। দিল্লীর কেন্দ্রীয় সরকারের তাবেদারী করা বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ দ্বারা করা এই জাতিবিদ্বেষী অপরাধের কথা জানাজানি হতেই প্রতিবাদের ডাক দেয় ভারতে বাঙ্গালীর অধিকার আদায়ের জাতীয় সংগঠন বাংলা পক্ষ। আজ কলকাতার রানুছায়া মঞ্চে রবীন্দ্র সদনের পাশে বাংলা পক্ষর শতাধিক সহযোদ্ধার জমায়েত হয়। এই জমায়েতে বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন “বিশ্বভারতী এখন দিল্লির হিন্দি সাম্রাজ্যবাদীদের দখলে। এই বাঙালি বিদ্বেষী বিজেপি এক জাতিদ্রোহীকে বসিয়েছে বিশ্বভারতীর উপাচার্য হিসেবে। তার নির্দেশে পরের পর বাংলা ও বাঙালি বিরুদ্ধে কার্যকলাপ চলছে বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসে। এখন তা ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বভারতীর ওয়েবসাইটেও। এর আগে বিশ্বভারতীর উপাসনা গৃহে বসে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী মা দুর্গাকে এবং বাঙালি জাতিকে চরম অপমান করেন। বিদ্যুৎ চক্রবর্তী উপাসনা গৃহে বসে বলেছে যে মা দুর্গার পুজো বাঙালি জাতি শুরু করেছিল ইংরেজদের খুশি করতে এবং মদের নেশার অজুহাত খাড়া করতে। ছোট্ট একটি নিষ্পাপ মেয়েকে যৌন আক্রমণের দায়ে দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল বিজেপির দ্বারা বিশ্বভারতীর উপাচার্য বানানো বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। দিল্লির প্রভুদের খুশি করতে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বাঙালি জাতির অমর নায়ক সুভাষচন্দ্র বসুকে লিখিতভাবে অপমান করেছে এবং বাংলা গর্ব নোবেল জয়ী অমর্ত্য সেনকে চোর হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। এছাড়াও সে পৌষমেলা বন্ধ করে দিয়েছে এবং বাঙালি জাতির যাতে অবাধে তাদের প্রাণের শান্তিনিকেতনে প্রবেশ না করতে পারে তাই দেয়াল খাড়া করেছে।”
উল্লেখ্য, বাংলা পক্ষ এর আগে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে ধর্মীয় বিদ্বেষ ও জাতিবিদ্বেষ সরানোর জন্য যখন মা দুর্গা তথা বাঙালিকে অপমানজনক কথাগুলি বলা হয়েছিল। এবারও বাংলা পক্ষ পুলিশে অভিযোগ করতে চলেছে এবং বাংলা জুড়ে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে জাতিদ্রোহী আখ্যায়িত করে ফ্লেক্স লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলা পক্ষ। একইসাথে বিশ্বভারতীকে শিক্ষক ও কর্মচারী, সব স্তরে বাঙালিশূন্য করে তুলে বহিরাগত বাঙালি-বিদ্বেষী হিন্দুস্তানি ঢুকিয়ে বাংলা ও বাঙালির বিরুদ্ধে চক্রান্তের এক আখড়ায় পরিণত করা আটকাতে বিশ্বভারতীকে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয় বানানোর দাবি জানিয়েছে বাংলা পক্ষ।
বাংলা পক্ষ করে প্রতিবাদ জমায়েতে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত যোগদান দেখা যায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাপক্ষ বিভিন্ন জেলার সহযোদ্ধারা এবং বাংলা পক্ষ ের উত্তর ২৪ পরগনা শিল্পাঞ্চল সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক মামুদ আলী মন্ডল এবং উত্তর ২৪ পরগনা গ্রামীণ জেলার সম্পাদক দেবাশীষ মজুমদার।