|
---|
আলম সেখ, নতুন গতি, মুর্শিদাবাদ: মেয়েকে ডাক্তার করবে স্বপ্ন মুর্শিদাবাদ জেলার সামসেরগঞ্জের এক দর্জিওলার। সেলাই মেশিনের কাজ করে পিতা আইন হক মা সামিয়ারা বিবি বিড়ি শ্রমিক, তাদের দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। সন্তানদের মধ্যে তৃতীয় সুমাইয়া। ছোটো থেকেই মেধাবী সুমাইয়া,
সুমাইয়া স্থানীয় নতুন লোহরপুর ৫২ নং প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেই পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির পরীক্ষায় পাশ করে চলে যায় মালদার কালিয়াচকের আন নাজাত একাডেমিতে। সুমাইয়ার পিতা আইন হক দর্জির কাজ করেই খেয়ে না খেয়ে- মেয়েকে ডাক্তার করার ইচ্ছায় পড়াশুনা করিয়ে যান । এবছর স্থানীয় কালিয়াচক গার্লস হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসে সুমাইয়া। পরীক্ষা ভালো দিয়ে দীর্ঘ সময় লকডাউনে বিজ্ঞানের বিষয় নিয়ে আগেভাগেই পড়াশুনা করতে থাকে সুমাইয়া । বুধবার রেজাল্ট প্রকাশিত হতেই দেখা যায় কার্যত বাজিমাত করেছে সুমাইয়া। সুমাইয়ার মোট প্রাপ্ত নম্বর ৬৪৪, যা স্কুলের সেরা। তার বিষয় ভিত্তিক প্রাপ্ত নম্বর বাংলায় ৯৫, ইংরেজিতে ৮৫, অঙ্কে ৯৯, ভৌত বিজ্ঞানে ৯২, জীবন বিজ্ঞানে ৮৬, ভূগোলে ৯৩ ও ইতিহাসে ৯৪ শতাংশের হিসেবে ৯২% ।
মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও মাদ্রাসা বোর্ডে মুর্শিদাবাদের ছাত্র ছাত্রীর খুবই ভালো ফলাফল, এমনকি মাদ্রাসা বোর্ডে রাজ্যে প্রথম হয়েছে মুর্শিদাবাদের এক রাজমিস্ত্রির কন্যা নাফিসা খাতুন।মুর্শিদাবাদ জেলায় শিক্ষা ব্যবস্থা এত উন্নত হওয়ার পরও ২ কোটি বসবাসকারী একটি জেলায় একটা পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় স্থগিত হয়নি। প্রতিটা সরকার শুধু মাত্র প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছে কেও এখন পর্যন্ত একটা পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত করে দেইনি।