মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি শহরের এই প্রাচীন পাথরচাপরী মেলা কে ঘিরে উৎসাহ উন্মাদনা চোখে পড়ার মতো

নিজস্ব সংবাদদাতা : কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই দীর্ঘ দুই বছর পরে কান্দিতে জমে উঠেছে ছোট পাথর চাপুরী মেলা। বীরভূম জেলার পাথরচাপুরী মেলার সাথেই কান্দিতে এই পাথর চাপুরী মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে। প্রতি বছর বাংলা চৈত্র মাসের ৯ তারিখ হল এই মেলার নির্ধারিত দিন। মেলা চলে প্রায় চারদিন ধরে। ওয়াকফ এষ্টেটের পরিচালনায় প্রতি বছর কান্দি পৌরসভার ১৩নং ওয়ার্ডের বোয়ালিয়াতে এই মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে। তবে শুধু মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা নয়, হিন্দু, খ্রিষ্টান সকল ধর্মের মানুষ উপস্থিত হন এই পাথর চাপুরীতে। কথিত আছে, যে যা মনস্কামনা করেণ তা সব পূরণ হয় এখানে। কোভিড মহামারি পরিস্থিতির কারণে ২০২০ সালে ও ২০২১ সালে মেলা বন্ধ ছিল। দীর্ঘ দুই বছর এবছর মেলা বেশ জমে উঠেছে। বিভিন্ন ছোট ছোট খেলনার দোকান বাসনপত্রের দোকান সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতা। তৈরী হচ্ছে গরম গরম জিলাপী। সকল ধর্মের মানুষ এই মেলা কে কেন্দ্র করে আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠেন। মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি শহরের এই প্রাচীন পাথর চাপরী মেলা কে ঘিরে উৎসাহ উন্মাদনা চোখে পড়ার মতো। হিন্দু মুসলিম সকল সম্প্রদায়ের মানুষের সম্প্রীতির এক অন্য মাত্রা দেখা যায় এই মেলা কে ঘিরে। মেলা কমিটির উদ্যোক্তা মহম্মদ সেখ জানান, বাবা উরস উৎসব তথা ছোট পাথর চাপুরী মেলার আয়োজন করা হয়। শহুরে কিংবা গ্রামীণ, হিন্দু কিংবা মুসলিম সব সম্প্রদায়ের মানুষ এই মেলাতে উপস্থিত হন। বিকাশ দাসের কথায়, আমাদের এই মেলাতে অংশ গ্রহণ করে ভালো লাগে। মনস্কামনা পূরণে হিন্দুরাও চাদর চাপিয়ে যান এই থানে। কান্দি পৌরসভা সহ কান্দি থানার পুলিশ প্রশাসনও মেলা কে ঘিরে প্রশাসনিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন