|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : সৎ মাকে ধর্ষণ করার জন্য প্রথম পক্ষের ছেলেদের উপর জোর খাটালেন খোদ বাবা! তিনমাস ধরে দ্বিতীয় স্ত্রীকে মাদক সেবন করিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে ওই ব্যক্তি এবং তার প্রথম পক্ষের দুই ছেলের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, নির্যাতিতার অগোচরে সেই ধর্ষণের ঘটনার ভিডিয়ো রেকর্ড করে অশ্লীল ওয়েবসাইটে পোস্ট করারও অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। ন্যক্কারজনক এই ঘটনা ঘটেছে মুম্বইয়ে। শনিবার বিকেলে ৪০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি এবং তার প্রথম পক্ষের দুই ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিতার বয়স ৩২। ২০১০ সালে প্রথম স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে গিয়েছিল তাঁর। অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে মহিলাটি ২০১৫ সালে আলাপ হয়েছিল তাঁর। গার্হস্থ হিংসার অভিযোগে তারও প্রথম বিয়ে ভেঙে গিয়েছিল। ওই বছরই দুইজনে বিয়ে করেছিলেন। তাঁদের ৮ এবং ১০ বছর বয়সী দুই সন্তানও রয়েছে। মুম্বইয়ের ট্রম্বেতে চিতা ক্যাম্প এলাকায় থাকতেন তাঁরা। সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল। তবে অবস্থাটা পাল্টে যায় কোভিড-১৯ লকডাউন শুরু হওয়ার পর। ওই সময় ওই ব্যক্তির প্রথম পক্ষের স্ত্রীর দুই ছেলে তাদের সঙ্গে এসে থাকতে শুরু করেছিল। অভিযুক্ত ব্যক্তি মুম্বই পুরসভায় আবর্জনার গাড়ির চালক হিসাবে কাজ করেন। প্রথম পক্ষের দুই ছেলেকেও সেখানেই অস্থায়ী ড্রাইভার হিসাবে ঢুকিয়ে দিয়েছিল সে।তবে, তারা এসে থাকতে শুরু করার পরই ওই ব্যক্তির সঙ্গে তাদের সম্পত্তি নিয়ে ঝগড়াঝাটি শুরু হয়। চলতি বছরের ২২ জুন অভিযুক্ত ব্যক্তিতার দ্বিতীয়া স্ত্রীকে মাদক মেশানো কোল্ড ড্রিংক খেতে দিয়েছিল। সেই পানীয় খেয়ে সংজ্ঞা হারিয়েছিলেন মহিলা। এরপর, সে তার প্রথম পক্ষের ছেলেদের মদ্যপান করায়। তারপর, তার দ্বিতীয় স্ত্রী তথা তাদের সৎ মাকে ধর্ষণ করতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ। ওই ধর্ষণকাণ্ডের দৃশ্য মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় রেকর্ড করেছিল সে। পুলিশ জানিয়েছে, পরের তিন মাসে বারংবার ওই মহিলাকে মাদক সেবন করানো হয় আর ধর্ষণ করা হয়। সেই ভিডিয়োগুলি ওই ব্যক্তি এবং তার প্রথম পক্ষের ছেলেরা বিভিন্ন পর্ন সাইটে আপলোড করত বলেও জানিয়েছে পুলিশ। তদন্তের সময় একটি পর্ন সাইটে ওই মহিলার অন্তত দুটি ভিডিয়ো পাওয়া গিয়েছে।নির্যাতিতা পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁকে যে নিয়মিত ধর্ষণ করা হত, সে সম্পর্কে কিচ্ছু জানতেন না তিনি। কিন্তু, ওই ব্যক্তির মোবাইলে কিছু ভিডিয়ো দেখে তিনি এই অপরাধ সম্পর্কে জানতে পেরেছিলেন। গত শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর), তিনি তাঁর ভাইকে নিয়ে পুলিশের কাছে গিয়ে পুরো ঘটনা খুলে বলেন এবং স্বামী ও তাঁর প্রথছম পক্ষের ছেলেদের বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করেন। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির দুই ছেলের একজনের বয়স ২২, অপর জনের ২০। এদিকে, নির্যাতিতা পুলিশে অভিযোগ জানানোর পরই অভিযুক্ত তিনজন পালানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু, তাদের মোবাইল ফোনের অবস্থান ধরে খোঁজ চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
অভিযুক্ত স্বামীর মোবাইল ফোনে, তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রীর ভিডিয়ো-সহ অন্তত ৭০০টি পর্নোগ্রাফিক ভিডিয়ো পেয়েছে পুলিশ। জেরার মুখে সে পর্ন সাইটে তার স্ত্রীর ধর্ষণের দুটি ভিডিয়ো আপলোড করার কথা স্বীকার করেছে। ফোনটি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। বিএমসিকেও বিষয়টি জানিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্ত তিনজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, গণধর্ষণ, স্বেচ্ছায় আঘাত করা-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির বেশ কয়েকটি ধারায় এবং তথ্য প্রযুক্তি আইনের ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।