|
---|
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্ন – সঠিক দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর বিপণন। তাই রৌদ্রবৃষ্টি প্রকল্পে সরকারই সরাসরি দোকান খুলেছে। যাতে সঠিক দামে ভালো মানের পছন্দমাফিক নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনতে পারেন সাধারণ মানুষ।
বাঁশকাঠি ৪৫ টাকা কিলো, জিরাকাঠি ৪২ টাকা কিলো, গোবিন্দভোগ ৬৩ টাকা কিলো, রয়াল বাসমতি-তুলাইপাঞ্জিও ৯৩ টাকায় মিলছে রৌদ্রবৃষ্টিতে। তালিকায় রয়েছে এরকম ১৩ ধরনের চাল। রয়েছে তেল, নুন, ডাল, মশলা, ধূপকাঠি, মাইশোর স্যান্ডেল সাবান থেকে চানাচুর, খাতা-পেন্সিলের মতো ২০০ পণ্য। দাম কম, গুণগত মান নিয়েও প্রশ্ন নেই।
‘রৌদ্র-বৃষ্টি’র কাউন্টারে ৯৩ টাকা কিলো দরে তুলাইপাঞ্জি চাল কেনার হুড়োহুড়ি পড়ে যাচ্ছে। বাজারে এই চাল এত কম দামে পাওয়া যায় না। চাহিদা এমনই, সব সময়ে চাইলেই পাওয়া যায় না। সরকারি এই ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের জনপ্রিয়তা ধাপে ধাপে বাড়তে থাকায় ব্র্যান্ডেড কোস্পানির খাদ্যসামগ্রী ও প্রসাধনীও ঠাঁই করে দিতে খাদ্য দপ্তর বিজনেস পার্টনার করেছে একটি বেসরকারি কোম্পানিকে,পুজোর আগেই যাতে আরও প্রায় ৪৫০ ধরনের ব্র্যান্ডেড সামগ্রী রৌদ্রবৃষ্টির কাউন্টারে পাওয়া যায়।
রৌদ্রবৃষ্টি এখন আর ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের খাদ্য ভবনেই আটকে নেই, ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন জেলায়। প্রতিটি পুরসভাকে যুক্ত করা হচ্ছে। শর্ত একটাই, পুরসভায় তাদের নিজস্ব ভবনে এই বিপণন কেন্দ্র খুলে পরিচালনা করবে। নামের ব্র্যান্ডটা থাকবে খাদ্য দপ্তরের হাতে। খাদ্য দপ্তরই ভালো মানের চাল-ডাল ও অন্যান্য সামগ্রী কোথা থেকে কিনে বিক্রী করা হবে, তা ঠিক করে দেবে।