কসবার সিলভার পয়েন্ট স্কুলে ছাত্রমৃত্যুর  ঘটনায় ক্রমেই ঘনাচ্ছে রহস্য

নিজস্ব সংবাদদাতা : কসবার সিলভার পয়েন্ট স্কুলে ছাত্রমৃত্যুর  ঘটনায় ক্রমেই ঘনাচ্ছে রহস্য। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনায় স্কুল ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দশম শ্রেণির ও ছাত্রের পরিবার। তাঁর বাবা দাবি করেছেন, করোনা পরবর্তী সময়ে স্কুলের ফি বৃদ্ধি নিয়ে তিনি প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। তারপর থেকেই তাঁর ছেলের উপর নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল। স্কুল প্রজেক্ট নিয়ে দেওয়া হচ্ছিল চাপ। তারফলে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল ওই ছাত্র (Kasba Student Death)। যদিও তাঁর অভিযোগ উড়িয়ে দেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। এবার স্কুলেরই প্রিন্সিপাল, ভাইস প্রিন্সিপাল ও আরও দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কসবা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বাবা।মৃত ছাত্রের (Kasba Student Death) বাবার দাবি, স্কুলই খুন করেছে ছেলেকে। কসবা থানার ওসির কাছে স্কুলের প্রিন্সিপাল, ভাইস প্রিন্সিপাল-সহ আরও দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ১২০ বি ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

    মৃতের বাবা শেখ পাপ্পুর অভিযোগ, তাঁর ছেলেকে মারধর করেছেন স্কুলের শিক্ষকেরা। তাঁর কথায়, ‘‘পাঁচ তলা থেকে পড়লে হাড়গোড় ভাঙত ছেলের। কিন্তু সে সব কিছুই তো হয়নি।’’ অন্য দিকে, স্কুল কর্তৃপক্ষ পাপ্পুর এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ‘‘তদন্ত চলছে। কোনও স্কুলই তাদের পড়ুয়াকে হেনস্থা করে না। যে সমস্ত অভিযোগ করা হচ্ছে, আমাদের কোনও শিক্ষকই এমন আচরণ করেন না।” সোমবার দুপুরে সিলভার পয়েন্ট হাই স্কুলে রক্তাক্ত অবস্থায় শানকে পাওয়া যায়। তড়িঘড়ি তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ১৬ বছরের ওই ছাত্রকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা জানিয়েছেন, উপর থেকে পড়ে এই মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ছাত্রের দেহের ময়নাতদন্ত হবে। এর মধ্যে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছে শানের পরিবার।

     

    অনেকের দাবি, শিক্ষিকাদের বকাবকি করায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে শান। তারপরই স্কুলের ছাদ থেকে ঝাঁপ মেরে আত্মহত্যা করে (Kasba Student Death)। কিন্তু এই আত্মহত্যার তত্ত্ব মানতে নারাজ মৃতের পরিবার। তাদের দাবি, ছেলের শরীরের একটাও হাড় ভাঙেনি। কান ও মুখে ছিল রক্তের চিহ্ন। ওই পড়ুয়ার বাবার প্রশ্ন, ৫ তলা থেকে নীচে পড়ার পরেও কীভাবে হাড় না ভাঙা সম্ভব?

    পরিবারের এই দাবি নিয়ে পুলিশ এখনও কোনও মন্তব্য করেনি। সূত্রের খবর, ৫ তলায় স্কুলের স্টাফরুম। সেখানেই কথা বলতে গিয়েছিল শান। ৬ তলায় একটি ক্লাসরুম রয়েছে। তার পাশেই চলছে নির্মাণকাজ। সেখান থেকে নীচে পড়ে যায় শান।