ধর্ষণ ও জোড়া খুনে অভিযুক্ত সাধুকে ফাঁসির নির্দেশ দিল রামপুরহাট আদালত!

নিজস্ব সংবাদদাতা : ধর্ষণ ও জোড়া খুনে অভিযুক্ত সাধুকে ফাঁসির নির্দেশ দিল রামপুরহাট আদালত। জানা গিয়েছে, যোগবলে একটি মেয়ের পুড়ে যাওয়া শরীর ঠিক করে দেওয়ার নাম করে প্রায় লক্ষাধিক টাকা নেয় ওই সাধু। সেই টাকা ফেরত চাওয়ার জন্যই তিন বছর আগে ওই মেয়ের মাকে ধর্ষণ ও পরে খুন করে হরি বাবা ওরফে সুনীল দাস, অভিযোগ এমনই। আর এই অভিযোগের জেরেই রামপুরহাট আদালতের অতিরিক্ত দায়রা ও জেলা বিচারক গুরুদাস বিশ্বাস অভিযুক্ত সুনীল দাসের কাছে জানতে চান তাঁর শেষ ইচ্ছা। এরপরই অভিযুক্ত বলে, ‘আমি নির্দোষ ঠাকুর সব জানে’।আর তারপরেই বিচারক তাঁকে ফাঁসির নির্দেশ দিয়ে লেখেন, ‘ডেথ পানিশমেন্ট। হি উইল বি হ্যাং বাই হিস নেক টিল ডেথ’। কখনও সে হরিবাবা কখনও হরিচরণ দাস কখনও সুনীল দাস আবার কখনও স্বপন রায়। বারংবার সাধু বেশে আড়ালে লোক ঠকানোটাকে সে এক অন্য পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল।সিউড়ির পানুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা সুনীল দাস নিজের এলাকাতেই একাধিক প্রতারণার মামলায় অভিযুক্ত। সেখান থেকে পালিয়ে গিয়ে রামপুরহাটের একটি আশ্রমে আশ্রয় নেয় সে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এই আশ্রমেই রাতের অন্ধকারে চলতো যৌন কার্যকলাপ।অবশেষে সেখান থেকে তাড়া খেয়ে মল্লারপুরের ডাক বাংলো যাওয়ার পথে মাঠের মাঝখানে কৃষ্ণ মন্দির খুলে বসে সে। আর তাঁর সাধন সঙ্গী হিসেবে সেখানে যান সিউড়ির বাসিন্দা কাকলি পাত্র। আর এই কৃষ্ণ মন্দিরের আড়ালেই শুরু হয় লোক ঠকানোর কারবার। কিন্তু মা মেয়েকে খুনের ঘটনার পর নদিয়াতে পালিয়ে যায় সে। সেখানেও একটি আশ্রম খুলে বসে এই সাধু। পরে আবার নদিয়া থেকে আবারও নাম বদল করে তারাপীঠে ডেরা বাঁধে। কিন্তু সেখান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।তারপর মঙ্গলবার হয় তার ফাঁসির সাজা ঘোষণা। ঘটনার সূত্রপাত ২০২০ সালের ১৭ই মে। ওইদিন বীরভূমের মল্লারপুর এলাকায় নিজের বাড়িতে খুন হন এক মহিলা ও তাঁর মেয়ে। অভিযোগ, মহিলাকে কাজু বাদামের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে দেওয়া হয়। তিনি তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়লে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। তারপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। এদিকে গোটা ঘটনা দেখে ফেলার জন্য ওই মহিলার মেয়েকেও শ্বাসরোধ করে খুন করে অভিযুক্ত।