বাঘ মুক্তি পেলো তবে মোতালেব মোল্লার পরিবারের জিবনে অন্ধকার নেমে এলো

জাহির হোসেন মন্ডল ও সাকিব হাসান, কুলতলি: কুলতলির বাঘ খাঁচাথেকে মুক্তি পেলেও ঘরবন্দী হলেন মোতালেব মোল্লা। দিন আনতে দিন খাওয়া লোক একমাত্র উপার্জন কারী যে কিনা মাছের ব্যাবসা করে কেল্লা ও জামতলা হাটে ভোরে মাছকিনে চরনের হাটে ফুটপাতে বিক্রি করে সংসার চালায়।

    মোতালেব মোল্লা জানায়, প্রথম কথা বলতেই বললো কিভাবে আমার ছেলেদের নতুন ক্লাসের বই কিনবো স্কুলের ফিস ভর্তি ফ্রী জমা করবো? বনদপ্তরের লোকজন রবিবার ১৩ জনের একটি লিষ্ট বানায় লোকাল নেতার কাছে লোকের লিষ্ট বানাতে বলে প্রথম দিন কাজ হলো বাঘ পাহারা ও বাঘ খোঁজার মজুরি -৬০০ এখোনা পাইনি। দ্বিতীয় দিনে বনদপ্তরের লোকজন লুকিয়ে থাকা বাঘকে খুজতে সঙ্গে নিয়ে এগতে বাঘ ঝাঁপিয়ে পড়ে কোনক্রমেই বাঁচতে লাফ আর তারপর আমার পা ভাঁঙে।
    প্রথমেই প্রথমিক চিকিৎসা তার পর হাসপাতালে কিন্তু এই সব কেসে অরন্যভবনের সারকুলার আছে এম্বুলেন্স ফ্রী দেওয়ার অথচ জামতলা হয়ে বারুইপুরে ভাড়া-২৫০০ টাকা নিল। বারুইপুর হাসপাতালে ভর্তি নেওয়া হলোনা ডাক্তার নেই বলে। পিজির উদ্দেশ্য রওনা দিলাম আর এম্বুলেন্স ১৮০০ টাকা নিলো। এই কেসে হাসপাতালের সমস্ত চিকিৎসা ফ্রী ও ঔষধ ফ্রী অথচ ৭০০ টাকার ঔষধ কিনতে হলো। ও প্রথমে জামতলা হাসপাতালে গেলে সেখানে বাইরেথেকে এক্সরে করা হলো ৩৫০ টাকাদিয়ে। পিজি হাসপাতালে ১০ দিনপর আবার যেতেহবে হটুর পাশের হাড় ও মালাইচাকি ভেঙেছে। মাসকে মাস ভুগতে হবে একদিকে চিকিৎসা অন্য দিকে সংসার। এ পর্যন্ত কোন সরকারি অধিকারীক বা রাজনৈতিক নেতার দেখানেই।

    অথচ বাংলায় লেখা একটি ফর্ম আছে যেখানে বলাআছে গ্রামে বাঘ ঢুকলে পশু,জমির ফসল মানুষের কোন ক্ষতি হলে ক্ষতি পূরন পাবে অথচ বনদপ্তরের লোকজন একবারও দেখতে এলোনা। ফর্মটি ফিলাপ ও করালো না। কিন্তু এপিডিআর এর কর্মীদের কাছে সারকুলার ও ফর্ম আছে তারা দায়িত্ব নিয়ে পৌঁছে দেবে বনদপ্তরের লোকজন ও বিডিওর কাছে ক্ষতি পূরনের দাবী জানিয়ে। গতকালই মুখ্যমন্তী জেলার প্রশাসনিক বৈঠক এ বনদপ্তরের প্রসংশা করলেন বাঘ ধরার জন্য কিন্তু প্রশাসন বা রাজনৈতিক দলের কেউ বললেন না এ পর্যন্ত এক বছরে কুলতলির চার জন মৎসজীবি মারা গেলে বাঘের আক্রমণে তাদের একজনও ক্ষতি পূরন পায়নি সেই নিয়ে কোন বক্তব্য শুনতে পাওয়া গেলনা। APDR-এর সদস্য মিঠুন মন্ডল বলেন আর কতদিন বাঘের আক্রমণ মৃত্যু ও আহতরা তাদের অধিকার ফিরে পাবে।