হাওড়ার ডোমজুড়ে দেহ উদ্ধারের ৫৩ দিন পর গ্রেফতার করা হল মহিলার স্বামীকে

নিজস্ব সংবাদদাতা : সেতু থেকে বিছানার চাদরে মোড়া মহিলার দেহ উদ্ধার হয়েছিল গত জুলাই মাসে। ময়নাতদন্তে জানা গিয়েছিল, মহিলাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। তখন মৃতার পরিচয় জানতে গিয়ে পুলিশের কালঘাম ছুটেছিল! দিন কয়েক আগেই ভাগ্যের শিকে ছেঁড়ে তদন্তকারীদের। নাম-পরিচয় জানতে পেরে মঙ্গলবার, দেহ উদ্ধারের ৫৩ দিন পর গ্রেফতার করা হল মহিলার স্বামীকে। হাওড়ার ডোমজুড়ের ঘটনা। বুধবার ধৃত অনিল যাদবকে হাও়ড়া আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২৫ জুলাই ভোরে ডোমজুড়ের পাকুড়িয়া সেতু থেকে উদ্ধার হয় এক অজ্ঞাতপরিচয় মহিলার দেহ। এই ঘটনার তদন্তে নামে ডোমজুড় থানার পুলিশ। দেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। রিপোর্টে জানা যায়, ওই মহিলাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। পুলিশ তদন্তে নেমে মৃতার পরিচয় জানার চেষ্টা করে। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর করা হলেও মহিলার পরিচয় জানা যাচ্ছিল না। কিছু দিন আগেই পুলিশ লিলুয়ার পূর্বপাড়া এলাকায় মহিলার ছবি-সহ লিফলেট বিলি করার সময় হঠাৎ ফুচকা খেতে খেতে এক মহিলা মৃতাকে চিনতে পারেন। এর পর খোঁজখবর করে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, লিলুয়ার পচাখালের পাশে পূর্বপাড়ায় থাকতেন ওই মহিলা। তাঁর নাম সুনয়না যাদব। তিনি গত জুলাই মাস থেকে নিখোঁজ।এলাকায় খোঁজ নিয়ে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, পূর্বপাড়ায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন ওই মহিলা। পরিবারে স্বামী ছাড়াও দুই মেয়ে রয়েছে। এর পরেই মঙ্গলবার রাতে দাসনগর থেকে সুনয়নার স্বামী অনিলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, অনিল সম্প্রতি আরও একটি বিয়ে করেছেন। নতুন স্ত্রী বিহারে বাসিন্দা। অনিলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীদের অনুমান, পারিবারিক চাপে সুনয়নাকে খুন করেছেন তাঁর স্বামী। বাড়িতেই স্ত্রীকে খুন করে গভীর রাতে পাকুরিয়া ব্রিজের ধারে ফেলে রেখে এসেছিলেন। পুলিশ মনে করছে, মহিলা খুনের ঘটনায় অনিল ছাড়াও আরও কয়েক জন জড়িত। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।