ফের কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে লাগাতার আন্দোলনের পথে তৃণমূলের

দেবজিৎ মুখার্জি: রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের পর গত ৯ অক্টোবর পাঁচদিনের ধর্না কর্মসূচিতে ইতি টেনেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তবে ১০০ দিনের কাজ সহ বিভিন্ন প্রকল্পে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে আন্দোলন যে এখানেই শেষ হচ্ছে না, সেটাও সেদিন স্পষ্ট করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ১ নভেম্বর থেকে ফের কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে লাগাতার আন্দোলন সংগঠিত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি।

    একই সঙ্গে রাজ্যপালের ‘ভদ্রতা’র প্রশংসার পাশাপাশি কেন্দ্রের মোদী সরকারের উদ্দেশে অভিষেকের হুঁশিয়ারি ছিল, “২ মাস পর ৫০ হাজার লোক যাবে দিল্লিতে। পারলে আটকে দেখিও। ট্রেলারটা দেখালাম। পিকচার আভি বাকি হ্যায়!”

    সূত্রের খবর, বাংলায় উৎসব পর্ব শেষ হতেই কেন্দ্রের মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনকে আরও তীব্রতর করার তৎপরতা শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। এক মুহূর্ত সময় নষ্ট করতে চায় না তৃণমূল। অভিষেকের ঘোষণা অনুযায়ী, ডিসেম্বরে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দিল্লিতে ফের ধর্না বিক্ষোভ হবে।

    তারই প্রস্তুতি হিসেবে লক্ষ্মী পুজোর পর থেকেই অর্থাৎ ১ নভেম্বর থেকে রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা এলাকাতেই ফের কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে আন্দোলন সংগঠিত করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে আরও বেশি মানুষকে তৃণমূলের ছাতার তলায় আনতেই এই উদ্যোগ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    বিজেপিকে ঠেকাতে সর্বভারতীয়স্তরে ইন্ডিয়া জোট গঠন হয়েছে। জোটের অন্যতম শরিক তৃণমূল। লোকসভায় বাংলার ৪২ টি আসন থেকেই দলীয় প্রার্থীদের জয় সুনিশ্চিত করতে তাই সময় থাকতে ধারাবাহিক আন্দোলনে যেতে চাইছে এরাজ্যের শাসকদল।

    দলের প্রথমসারির এক নেতার কথায়, “অভিষেকের নেতৃত্বে গত ২ ও ৩ অক্টোবর আমাদের দিল্লি অভিযানের জেরে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বর রীতিমতো ল্যাজেগোবরে অবস্থা হয়েছিল। তাই দিল্লি ছেড়ে বাংলায় এসে সাংবাদিক বৈঠক করতে হয়েছে ওদের মন্ত্রীকে (সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি)। এবার আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকবেন স্বয়ং নেত্রী। বঞ্চনার প্রতিবাদ আরও তীব্রতর করতে তাই জেলায় জেলায় আন্দোলনের প্রস্তুতি শুরু করা হচ্ছে।”