স্বামীর হাত থেকে বউমাদের মান বাঁচাতে স্বামীর গলা কেটে খুন

নিজস্ব সংবাদদাতা : দীর্ঘদিন ধরে স্বামীর অত্যাচার সহ্য করেছেন। এখন ছেলেদের বিয়ে দিয়েছেন। তার পর স্বামীর নজর পড়েছে ছেলের বউদের উপরে। বউমাদের শয্যা সঙ্গিনী হওয়ার জন্য বাড়িতে অশান্তি। স্বামী মদ খেয়ে এসেই বউমাদের যৌন হেনস্থা করার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। স্বামীর হাত থেকে বউমাদের লাজ বাঁচাতে স্বামীর গলা কেটে খুন করার অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে। স্বামীকে খুনে অভিযুক্ত স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের বাদৌনে।স্ত্রীর হাতে খুন হওয়া ব্যক্তির নাম তেজেন্দ্র সিং (৪৩)। বিলসি শহরের বাসিন্দা তিনি। খেলনা তৈরির ব্যবসা রয়েছে তাঁর। মিথিলেশ দেবী এবং তেজেন্দ্রের চার সন্তান। ১৪ অগস্ট রহস্যজনক ভাবে খুন হন তেজেন্দ্র। বাড়ির উঠোনে তাঁর গলা কাটা রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। বাড়ির লোক অভিযোগ করে, তাঁকে বাইরের কোনও দুষ্কৃতী খুন করেছে। এর পর তদন্ত শুরু করে পুলিশ।

     

    পুলিশি তদন্তে জিজ্ঞাসা করা হয় তেজেন্দ্রর স্ত্রী মিথিলেশ দেবীকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মিথিলেশ দেবী বার বার বয়ান বদল করছিলেন। তার পর চেপে ধরতেই খুনের কথা স্বীকার করেন তিনি। নিজের স্বামীর বিষয়ে পুলিশকে মিথিলেশ দেবী জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী প্রায়শই মদ্যপান করে এসে অসভ্যতামি করতেন। তাঁকে তো মারধর করতেনই। ছেলের বউদের তাঁর শয্যাসঙ্গিনী বানানোর জন্য স্ত্রীকে চাপ দিতেন। এমনকি বউমাদের হেনস্থা করার অভিযোগও করেছেন মৃত ব্যক্তির স্ত্রী।মিথিলেশ দাবী জানিয়েছেন, ১৪ অগস্ট মদ খেয়ে এসে বউমাদের হেনস্থা করার চেষ্টা করেন তেজেন্দ্র। এর পর বাইরে উঠোনে শুতে যান। তখন মিথিলেশ কাস্তে গিয়ে গলা কেটে দেন নিজের স্বামীর। হেনস্থার হাত থেকে বাঁচাতেই এই কাজ তিনি করেছেন বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন। ঘটনা নিয়ে বিলসির স্টেশন হাউস অফিসার ব্রজেশ সিং জানিয়েছেন, ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির নির্দিষ্ট ধারায় খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে ।