ত্রাণ বিতরণ ও এলাকা পরিদর্শন অল ইন্ডিয়া সুন্নাতুল জামাতের

সংবাদদাতা : এদিন ধামাখালী, আতাপুর, মনিপুরসহ বিস্তীর্ন অঞ্চলের প্রায় ৬০০ জন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে চাল, ডাল, আলু, সঃতেল, সোয়াবিন, সার্ফ, সাবান মুড়ি, আটা, বিস্কুট, কুমড়ো,পটল, পানি জামাকাপড় বিতরণ করে অল ইন্ডিয়া সুন্নাতুল জামাত। সংগঠনের সুপ্রিমো ও জামিয়া রহমানিয়ার কর্ণধার মুফতি আব্দুল কাইউম সাহেবের দোয়ার মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণের কার্য শুরু হয়। তিনি বলেন, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো এটা মানবিক কর্তব্য। আমাদের সংগঠন, আয়লা, বুলবুল,ফণি, আমফান থেকে শুরু করে আজ অবধি মানুষের পাশে থেকে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে, আগামীতে আরও বেশি কাজ করবে ইনশাআল্লাহ।

    সংগঠনের সম্পাদক মুফতি আব্দুল মাতিন বলেন, আমাদের সংগঠন, লাগাতার ভাবে ময়দানে নেমে আজ দীর্ঘ ১৪ দিন ইয়াস বিধ্বস্ত এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী প্রদান করে চলেছে। এখনো বেশ কিছু দিন চলবে। আমারা মানুষের জন্য কিছু করতে পেরে নিজেরা একটু আনন্দিত। আমরা ঘুরে ঘুরে এলাকার অভাব, দুঃখ দূর্দশা, কষ্টের কথা শুনছি,সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
    সিরাত সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড এডুকেশনাল ট্রাস্টের রাজ্য সম্পাদক, বিশিষ্ট শিক্ষক ও সন্দেশখালি এলাকার ভূমি পুত্র আবু সিদ্দিক খান বলেন “ইয়াস” ঝড়ের তান্ডবে উত্তর ২৪ পরগানা, দক্ষিন চব্বিশ পরগণাসহ বেশ কয়েকটি জেলার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে প্লাবিত হয়! যার ফলে অসংখ্য মানুষ বাড়ি ছেড়ে সেফ হোম, আত্মীয় স্বজনদের বাড়িসহ নিরাপদ আশ্রায়ে চলে যেতে বাধ্য হয়! মানুষ হারিয়ে ফেলে তার চলার স্বাভাবিক ছন্দ! জীবন জীবিকা হয়ে উঠে বিপর্যস্ত ও দূর্বিসহ!
    ঠিক এমত অবস্থায় বাংলার অসংখ্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ শিক্ষক সংগঠন, ক্লাব, ব্যাক্তিগত উদ্যোগে এগিয়ে আসে বিপর্যস্ত মানুষের সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে। প্রচুর ত্রাণ পৌঁছায় প্লাবিত এলাকায়! যা কিনা সত্যি প্রসাংসার দাবী রাখে। এলাকার মানুষ ত্রাণ কার্যে যথেষ্ট সন্তুষ্ট কিন্তু তার থেকে বেশি সন্তুষ্ট হবে যদি সরকারি ভাবে কংক্রিট ভাবে নদীর বাঁধ নির্মাণ হয়।
    এদিন সুন্নত ওয়াল জামাতের অফিস সেক্রেটারী তরিকুল ইসলাম বলেন, ইয়াস ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদের যে বিপুল পরিমান ত্রাণ, অল ইন্ডিয়া সুন্নাতুল জামাত সংগঠনের সম্পাদক আব্দুল মাতিনের নেতৃত্বে বিপর্যস্ত এলাকায় পৌঁছানো গেছে তা একমাত্র সম্ভব হয়েছে আমাদের সংগঠনের বিভিন্ন ব্লকের কর্মীদের জন্য।
    এদিন ত্রাণ বিতরণে উপস্থিত ছিলেন, খাদিজাতুল কুবরা বালিকা মাদ্রাসার ডাইরেক্টর মাওলানা মুফতি রজব আলি, ভবানীপুর মাদ্রাসার সম্পাদক মাওলানা ইয়াকুব আলী, মাওলানা আকরাম আলি, মাহমুদুল হাসান প্রমুখ।