মেদিনীপুরেও ধর্নায় তৃণমূল কংগ্রেস

নতুন গতি, ওয়েব ডেস্ক : তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি তার নির্বাচনী প্রচারে কেন্দ্র বাহিনীকে ঘেরাও করা প্রসঙ্গ ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোট সংক্রান্ত দুটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। তার এই দুই মন্তব্যের জেরে বিরোধীরা নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করেছিল মন্তব্যের ফলে নির্বাচনী বিধিভঙ্গ হচ্ছে। তারই জেরে ৭ই এপ্রিল নির্বাচন কমিশন তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জিকে শোকজ করেন । ৯ইএপ্রিল সেই শোকজের জবাব দিয়েছিলেন মমতা ব্যানার্জি। তার তার জবাবে সন্তুষ্ট না হওয়ায় কড়া পদক্ষেপ করলো কমিশন।নির্বাচন কমিশন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সোমবার রাত ৮টা থেকে মঙ্গলবার রাত ৮টা পর্যন্ত

    24 ঘন্টার জন্য নির্বাচনী প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। মমতাকে নির্বাচনী প্রচার থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করার কারণ হিসেবে কমিশনের বক্তব্য, নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী অর্থাৎ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্ররোচনা এবং উস্কানি দেওয়ার মতন ভাষণ দিয়েছেন। এতে আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। প্রভাব পড়তে পারে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায়। সেই কারণে তাঁকে( মমতা) সতর্ক করার পাশাপাশি নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়াই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।কমিশনের এই সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসামাত্রই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি যশবন্ত সিনহা, ফিরহাদ হাকিম,ডেরেক ও’ব্রায়েন ঘটনার প্রতিবাদে টুইটকরেছেন এবং একে ‘গণতন্ত্রের কালো দিন’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তার প্রতিবাদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল টুইট করে জানিয়েছিলেন, নির্বাচন কমিশনের এমন অগণতান্ত্রিক অসাংবিধানিক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুর বারোটায় গান্ধী মূর্তি পাদদেশে ধরনায় বসছি।

    সেই মত আজ বহু আন্দোলনের পিঠস্থান কলকাতার মেয়ো রোড এর গান্ধী স্ট্যাচুর নিচে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পতাকা ফেস্টুন নেতা-মন্ত্রী কর্মী ছাড়া এই ধরনাই বসেন ।

    আর ঠিক সেই সময়েই মেদিনীপুরের গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধরনায় অবস্থানে বসেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। জেলা নেতৃত্ব বলেন, বিজেপির কথায় নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কিন্তু তারা এই ভাবে দলের নেত্রীকে আটকাতে পারবে না। এই অবস্থান বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি অজিত মাইতি, দলের নেতা দিনেন রায়, মহম্মদ রফিক সহ আরও অনেক নেতারা।