আমফান দমাতে পারেনি নেতাকে, বৃষ্টি মাথায় নিয়েই কোয়রান্টিন সেন্টারে রান্না করা খাবার পৌঁছে দিলেন, দিলেন নতুন পোশাকও

উজির আলী,নতুনগতি,চাঁচল:২১ মে
দুর্যোগে দিলেন খাবার, দিলেন বস্ত্র।
আমপান ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে আতঙ্ক সারা রাজ‍্য বাসী।গৃহবন্দী রয়েছেন অধিকাংশই। কিন্তু এই ঝড়ের আতঙ্ক থাকলেও দমাতে পারেনি মালদহের ওই দাপুটে নেতা সেখ ইয়াসিনকে।

    লকডাউন শুরু থেকে ওই এলাকার হাজার হাজার মানুষের মুখে তুলে দিয়েছেন আহার। এবার ভিনরাজ‍্য থেকেও শতশত শ্রমিক ফিরেছে এলাকায়। গ্রামবাসীর সুরক্ষার্থে রাখা হয়েছে তাদের কোয়ারান্টিন সেন্টারে। তবে প্রতিদিনই এলাকার কোয়ারান্টিন সেন্টার গুলিতে ইয়াসিন বাবু মধ‍্যাহ্নভোজনের জন‍্য পৌঁছে দিচ্ছে রান্না করা খাবার।

    ঠিক বৃহস্পতিবারও আমফানের দুর্যোগকে পরোয়া না করে রতুয়া ২ নং ব্লকের চাঁদমুনি ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার আটটি কোয়ারানটিনে ৯৫০ জনের খাওয়ার পৌছে দিয়েছেন ইয়াসিন বাবু। আমফানের দাপটে রতুয়ার দাপুটে তৃণমূল নেতা ঘরে বসে থাকেনি এদিনও। প্রতিদিনের আজও বেড়িয়েছিলেন দুস্থ ক্ষুধার্থ মানুষগুলির মুখে একবেলা আহার তুলে দেওয়ার জন‍্য। তবেএদিন ছাতা হাতে নিয়ে নিজে থেকে খাওয়ার তুলে দিয়েছেন তিনি।

    এদিন একইভাবে ওই চাঁদমুনি ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ৭৫০ জন দরিদ্রসীমার নীচে বসবাস করা মানুষগুলির মাঝে বস্ত্র তুলে দিয়েছেন ইয়াসিন বাবু। কারন টানা দুমাসের লকডানে কর্মহীনতায় আর্থিকসঙ্কট ও দেখা দিয়েছে এলাকায় তাই আমার মতো সাধ‍্যানুযায়ী মানুষ কিছুটা সাহায‍্য করে চলেছি বলে জানান ওই তৃণমূল নেতা সেখ ইয়াসিন। ভাইরাস কাটবে, দুর্যোগ যাবে কিন্তু এই দুঃসময়ে দুস্থ মানুষগুলির পাশে দাড়ানো মহৎ ব‍্যক্তিগুলির নাম ভোলা যায় কি করে।

    জানা গেছে এদিন ইয়াসিনের সঙ্গে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন যুব নেতা শেখ আতাউল সহ আরো অনেকে।