|
---|
নিউজ ডেস্ক : নোট বাতিলের পর দেশে বেকারত্বের হার বেড়েছে। সংসদে আজ লিখিতভাবে একথা স্বীকার করে নিয়েছে মোদি সরকার। এক প্রশ্নের উত্তরে শ্রমমন্ত্রী সন্তোষকুমার গঙ্গওয়ার লিখিতভাবে জানিয়েছেন, জাতীয় পরিসংখ্যান অফিসের সাম্প্রতিক সমীক্ষাই বলছে, দেশে বেকারত্বের বর্তমান হার ৬ শতাংশ। অথচ আগে যে সমীক্ষা হয়েছিল, সেখানে এই হার অনেক কম ছিল।
নোটবন্দির পর দেশে বেকারত্বের সংখ্যা বেড়েছে কি? সরকারের কাছে লিখিতভাবে জানতে চেয়েছিলেন রাজ্যসভার তৃণমূল এমপি মানসরঞ্জন ভুঁইয়া। জবাবে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী বলেছেন, ২০১৩-১৪ এবং ২০১৫-২০১৬ লেবার ব্যুরোর সমীক্ষায় বেকারত্বের হার ছিল যথাক্রমে ৩.৪ এবং ৩.৭ শতাংশ। একইভাবে ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্যাল অফিস (এনএসও) ২০১৭-১৮ সালে বার্ষিক পিরিয়ডিক লেবার ফোর্স সার্ভের (পিএলএফএস) রেজাল্ট বলছে, গোটা দেশে বেকারত্বের হার ৬ শতাংশ। অর্থাৎ নোট বাতিলের পর বেকারত্ব অনেকটাই বেড়েছে।
আরও উল্লেখযোগ্য হল, সরকার আজ বেকারত্বের হার নিয়ে সংসদে যে সাম্প্রতিক সমীক্ষার কথা জানিয়েছে, সেখানে পশ্চিমবঙ্গে বেকারত্বের হার কমেছে। সমীক্ষা মোতাবেক দেশে যেখানে বেকারত্বের হার ৬ শতাংশ, সেখানে বাংলার হার ৪.৬ শতাংশ। বেকারত্বের হার কমাতে মোদি সরকার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা, ন্যাশনাল কেরিয়ার সার্ভিস, প্রধানমন্ত্রী এমপ্লয়মেন্ট জেনারেশন কর্মসূচির মতো কী কী করেছে তার বিস্তারিত জানিয়েছেন মন্ত্রী সন্তোষ গঙ্গওয়ার। অন্যদিকে, সরকারি, বেসরকারি নানা রিপোর্টকে হাতিয়ার করে দেশে আর্থিক দুরবস্থা চলছে বলে বিরোধীরা সোচ্চার হলেও তা মানতে নারাজ মোদি সরকার। ‘দেশে বৃদ্ধির হার কম হতে পারে, কিন্তু তা মোটেই মন্দা নয়।’ সংসদে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।