|
---|
নতুন গতি ওয়েব ডেস্কঃ :ক্রমশ সংকটজনক পরিস্থিতির দিকে চলেছে দেশ। হুহু করে দেশ জুড়ে বেড়ে চলেছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। করোনা ভাইরাসের প্রকোপে কার্যত প্রাণ ওষ্ঠাগত ভারতবাসীর। এমন এক পরিস্থিতিতে নতুন করে মানুষের কাছে আতঙ্ক ছড়িয়ে মাস্ক। আগে সাধারণ মানুষের কাছে আসার আলো ছিলো ভাল্বযুক্ত N95 মাস্ক।
কিন্তু এবার বদলে দেওয়া হল সেই ধারনা। সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে চিঠি দিয়ে প্রত্যেক রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ভাল্ব যুক্ত এন ৯৫ মাস্ক এর বিপদের কথা।ভাল্বযুক্ত মাস্কের মধ্যে করোনা ভাইরাস আটকে থাকে না, কারও যদি করোনা ভাইরাস থাকে, আর তিনি যদি N95 মাস্ক পরেন, সে ক্ষেত্রে মাস্কের ভিতর থেকে ভাইরাস বেরিয়ে যায়। তার থেকে বরং ঘরে তৈরি কাপড়ের মাস্কই নাকি নিরাপদ, এমনটাই নির্দেশিকায় জানাচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে- চিকিত্সক স্বাস্থ্যকর্মীরাই কেবলমাত্র N95 মাস্ক পরতে পারেন। তবে সাধারণের জন্য ঘরে তৈরি মাস্কই যথেষ্ট। কীভাবে বাড়িতে তৈরি মাস্ক ব্যবহার করা উচিৎ তার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে www.mohfw.gov.in ওয়েবসাইটে।
দেশের সর্ববৃহৎ চিকিৎসক সংগঠন, ইন্ডিয়ান মেডিক্যল আসোসিয়েশন স্পস্টভাষায় জানিয়ে দিল দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে গোষ্ঠী সংক্রমণ। ইন্ডিয়ান মেডিক্যল আসোসিয়েশন হাসপাতাল বোর্ডের চেয়ারম্যান ডক্টর ভিকে মোংগা বলছেন, “প্রতিদিন ৩০ হাজারের বেশি মানুষ সংক্রমিত হচ্ছেন। এটা এখন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। খুব খারাপ ইঙ্গিত। গ্রামাঞ্চলের সংক্রমণের হার দেখে বলতেই হচ্ছে, এবার গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে।”
এ যাবৎকালে বহুবার চরিত্র বদল করেছে করোনা। তাকে বাগে আনতে পারছেন না তাবড় বিশেষজ্ঞরা। এ দিকে সংক্রমণ ঠেকাতে মরিয়া প্রসাশন একের পর এক সর্কবার্তা দিয়েছেন। হু-এর তরফেও জারি করা হয়েছে একাধিক গাইডলাইন।
ওষুধ-ভ্যাকসিন যতদিন না আসছে ততদিন করোনা থেকে বাঁচতে মাস্ক আর ঘন ঘন হাত ধোওয়া ছাড়া অন্য রাস্তা নেই। এটাই হল এখন সোশ্যাল ভ্যাকসিন। সোমবার এমনই মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষবর্ধনের। পাশাপাশি করোনা প্রতিরোধে মাস্ক অভিযানে তৎপর প্রশাসনও। মাস্ক না থাকলেই আটক করছে পুলিস। রাজ্যের সর্বত্রই চলছে এই অভিযান।