তেহট্টের শহীদ পরিবারের সাথে দেখা করতে এলেন রাজ্যপাল

 

    নিজস্ব প্রতিবেদক, নতুন গতি, নদীয়া;ঘন কুয়াশার কারণে হেলিকপ্টার নিচে নামতে না পারে, শহীদ পরিবারের সঙ্গে দেখা না করে ফিরতে যেতে হয়েছিলো রাজ্যপাল কে। উল্লেখ্য,মাস কয়েক আগে নদীয়ার তেহটটো রঘুনাথ পুরের বাসিন্দা সুবোধ ঘোষ ভারতীয় সেনাবাহিনীর পদে নিযুক্ত ছিলেন। কাশ্মীরের কর্মরত অবস্থায় পাকিস্তানি দুষ্কৃতীদের গুলিতে জখম হয়ে শহীদ হন তিনি।পিতা গৌরাঙ্গ ঘোষ জমিতে চাষ করে কোনরকম সংসার চালাতেন। সুবোধ ঘোষের একটি বোন রয়েছে। এক ছেলে এবং এক মেয়েকে নিয়ে কোন রকম ভাবে সংসার চালাতেন তিনি। চার বছর আগে ছেলে সুবোধ ঘোষ ভারতীয় সেনা জওয়ান এ যোগ দেওয়ার পর তাদের সংসারের কিছুটা হাল ফেরে। বোনের বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর এক বছর আগে তিনি নিজে বিয়ে করেন। সদ্য তিন মাসের একটি শিশু সন্তান হয়েছে তার। পরিবার সূত্রে খবর শেষবার ২ মাস আগে তিনি বাড়িতে আসেন। তারপর আবার নিজের কর্মস্থলে ফিরে যান। আগামী ডিসেম্বর মাসেই আবার বাড়ি ফেরার কথা ছিল সুবোধ ঘোষের। পরিবার সূত্রে জানা যায় বর্তমানে তিনি কাশ্মীর উপত্যকার উড়িতে কর্মরত ছিলেন।সেখানেই পাকিস্তানের হামলায় সুবোধ ঘোষ সহ আরও ১০ জন জোওয়ান শহীদ হয়। সেইমতো এলাকার মানুষজন সব একত্রিত ছিলেন এবং ঘটনাস্থলে পৌঁছে ছিলেন রানাঘাট কেন্দ্রে সাংসদ জগন্নাথ সরকার। হতাশ হয়েছিলেন সকলে! আজ সকাল এগারোটা নাগাদ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর , সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য্য, রানাঘাট তপশিলি কেন্দ্রের সাংসদ জগন্নাথ সরকার, বিজেপির রানাঘাট সাংগঠনিক দক্ষিণ জেলা সভাপতি অশোক চক্রবর্তী সহ জেলার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিজেপি নেতৃত্ব।
    তারা প্রত্যেকেই শহীদ পরিবারের সাথে, কথা বলেন, রাজ্যপাল ওই পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য্য বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর এই প্রথম জেলায় আগমন। তবে ওয়াই ক্যাটাগরির সিকিউরিটি এবং জেলা ও রাজ্যের দলীয় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেতে চলেছেন বলেই জানা যায় সূত্র মারফত। বিজেপির আগামীর বিভিন্ন কর্মসূচি সম্পর্কে তাদের আলোচনায় রত অবস্থায় দেখা যায়। শহীদ পরিবারের হাতে ১১ লক্ষ টাকার চেক তুলে দিলেন রাজ্যপাল।