আদালতে যাওয়ার মুখে এ কি বললেন জ্যোতিপ্রিয়?

দেবজিৎ মুখার্জি, কলকাতা: হেফাজতের মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। তাই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে ফের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে হাজির করল ইডি। দশ দিন ইডি হেফাজতের মধ্যে ৩ দিন হাসপাতালে ছিলেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী। তাতে সম্পূর্ণভাবে জেরা করা যায়নি। এমন যুক্তিই দেখাতে চলেছে ইডি। কয়েকদিন আগেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক দাবি করেছিলেন, আজ আদালতে তিনি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করবেন। সিজিও কমপ্লেক্স থেকে আজ আদালতে যাওয়ার মুখে নিজেকে ফের একবার নির্দোষ বলে দাবি করেন।

    জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, যা এরা করেছে তা অন্যায়।  কোর্টে এরা নিশ্চয় উত্তর দেবে। আমি নির্দোষ। যা হচ্ছে তাতে ভালো হচ্ছে না। আমি ভালো নেই। আমি মুক্ত। ইডি বুঝতে পেয়েছে আমি মুক্ত। জ্যোতিপ্রিয়র আইনজীবীর দাবি, কোন অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা জানতে চাওয়া হবে। শুধুমাত্র কারও সাক্ষ্যের ভিত্তিতেই জ্যাতিপ্রিয়কে গ্রেফতার করা হলা নাকি আরও অন্য কোনও অভিযোগ রয়েছে সেটাই জানতে চাওয়া হবে।

    পুজোর ছুটি থাকার কারণে ইডি আদালত আপাতত বন্ধ। ফলে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মামলার শুনানি হবে সিএমএম কোর্টে। ওই আদালতে অন্যান্যে যেসব মামলা রয়েছে তা শুনানি হওয়ার পরই জ্যোতিপ্রিয় মামলার শুনানি হবে। জানা যাচ্ছে আরও ৭ দিন জ্যোতিপ্রিয়কে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করবে ইডি। ইডির বক্তব্য, রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমে বেশকিছু নতুন তথ্য তাদের হাতে এসেছে। অভিযোগ, রেশন দুর্নীতির টাকা তাঁর কাছে আসতো। সেই টাকা জ্যোতিপ্রিয় যে তিনটি কোম্পানি খুলেছিলেন সেখান চলে যেত। বিভিন্ন সময়ে ওইসব কোম্পানির ডিরেক্টর বদল হয়েছে। কখনও তাঁর আপ্তসহায়কের স্ত্রীকে ডিরেক্টর করা হয়েছে। পরে ডিরেক্টরের পদে আনা হয় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রী ও মেয়েকে। ওইসব কোম্পানির মাধ্যমেই কালো টাকা সাদা করা হয়েছে।

    রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে গত পরশু একযোগে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি। তার মধ্যে ছিল অঙ্কিত ইন্ডিয়া নামে একটি কোম্পানি। তারা রেশনের মাল এফসিআইয়ের গোডাউনে পাঠাত। দীপেশ চন্দ নামে ওই ব্যবসায়ীর আবার সম্পর্ক রয়েছে লালু প্রসাদ যাদবের পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির মামলার সঙ্গে। তিনি ওই মামলায় রাজসাক্ষী ছিলেন। গত কয়েকদিন জ্যোতিপ্রিয়র এক প্রাক্তন আপ্তসহায়ককেও জেরা করে ইডি। ওইসব তথ্য় সামনে রেখেই ফের জ্যোতিপ্রিয়কে নতুন করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা।