|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : সন্দেহ ছিল যে তাঁর স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক আছে। এই সন্দেহ করেই স্ত্রীকে খুন করেন ওই ব্যক্তি। এই ঘটনা ঘটেছে খোদ দিল্লিতে। নিজের নাবালিকা মেয়ের সামনেই ওই মহিলাকে খুন করেন সাজিদ নামের এক ব্যক্তি। সোমবার এই খুনে ঘটনার ঘটেছে দিল্লির জাফরাবাদ এলাকায়। দিল্লির পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিজের ৩২ বছর বয়সী স্ত্রীকে খুন করে সাজিদ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির দুটি মেয়ে আছে। একজনের বয়স ৭ বছর এবং অন্য জনের বয়স ১১ বছর। গত কয়েকদিন ধরেই স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ চলছিল সাজিদের। সোমবার, মেয়েদের সামনেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীকে আক্রমণ করেন সাজিদ। সেই সময়ে তাদের বড় মেয়ে মাকে বাঁচাতে গিয়েছিল। সেও আহত হয়েছে।পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম নিশা। তাঁর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন আছে। গলায়, বুকে এবং হাতেও আঘাত করা হয় তাঁকে। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় গুরু তেজ বাহাদুর হাসপাতালে। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তারপরেই গ্রেফতার করা সাজিদকে। জানা গিয়েছে, সেখানের মুজপুর এলাকার বাসিন্দা সাজিদের আগে একটি মোবাইল সারানোর দোকান ছিল। কিন্ত এখন সে বেকার।তাঁর সন্দেহ ছিল যে স্ত্রীর অন্য কারোর সঙ্গে সম্পর্ক আছে। সোমবার রাতে এই নিয়ে তাদের মধ্যে বিবাদ চরমে ওঠে। তারপরেই নিশাকে খুন করে সাজিদ। ওই এলাকার পুলিশের ডিসিপি জানিয়েছেন, সাজিদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০২ এবং ৩০৭ ধারায় মামলা করা হয়েছে। যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয় সেটিও উদ্ধার করা হয়েছে। এই নিয়ে তদন্ত চলছে বলেও জানান ওই পুলিশের আধিকারিক।দিল্লির উত্তর পূর্ব এলাকার ডেপুটি কমিশনার অব পুলিশ জয় তিরকে জানান, এই খুনের ঘটনা ঘটে সেখানের বিজয় মহল্লাতে। রাত ১টা নাগাদ পুলিশ কন্ট্রল রুমে এক জন ফোন করে ওই খুনের ঘটনা জানান। তারপরেই পুলিশ ওই এলাকায় যায়। জানা গিয়েছে, ওই মহিলা এবং তাঁর মেয়ের চিৎকারে ছুড়ে আসেন এলাকার লোকজন। ততক্ষণে সেখান থেকে পালিয়ে যায় সাজিদ।পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, সাজিদের সন্দেহ ছিল যে নিশা তাঁর সঙ্গে চিটিং করছে। তার সঙ্গে পরিবারে আর্থিক সংকট চলছিল সেদিন রাতে তাদের মধ্যে বিবাদ চরমে ওঠে। জয় তিরকে বলেন, ‘এই খুনের পিছনে আরও কোন রহস্য আছে কী না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’