স্ত্রীর মর্যাদা দাবি জানিয়ে শিক্ষক প্রেমিকের বিরুদ্ধে বাড়ির সামনে ধর্নায় বসলো প্রেমিকা সিভিক ভলেন্টিয়ার

মালদা, ০১ নভেম্বর: স্ত্রীর মর্যাদা দাবি জানিয়ে শিক্ষক প্রেমিকের বিরুদ্ধে বাড়ির সামনে ধর্নায় বসলো প্রেমিকা সিভিক ভলেন্টিয়ার । সোমবার সকাল থেকে ওই মহিলা সিভিক ভলেন্টিয়ারের হবু স্বামীর বাড়ির সামনে ধর্নায় বসাকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গাজোল থানার হরিদাস গ্রামে।  ওই মহিলা সিভিক ভলেন্টিয়ারের ধর্নার বিষয়টি জানতে পেরে তদন্তে পৌঁছায় গাজোল থানার পুলিশ। অবশেষে ওই মহিলা সিভিক ভলেন্টিয়ারকে পুলিশ থানায় নিয়ে যায় ।

    এদিকে পুলিশের ভূমিকায় রীতিমতো অসন্তোষ ছড়িয়েছে ওই মহিলা সিভিক ভলেন্টিয়ার ও তার পরিবারের মধ্যে । তাঁদের দাবি , প্রেমিক হাইস্কুল শিক্ষক উৎপল সরকারকে উপযুক্ত শাস্তি না দিয়ে পাল্টা পুলিশ ধরনায় বসা মহিলা সিভিক ভলেন্টিয়ারকে তুলে নিয়ে এলো। যদিও এই ঘটনায় ওই মহিলা সিভিক ভলেন্টিয়ার  হাইস্কুল শিক্ষক উৎপল সরকারের বিরুদ্ধে গাজোল থানায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস সহ একাধিক বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেছে।

    ওই মহিলা সিভিক ভলেন্টিয়ার সীমা বিশ্বাস জানিয়েছেন, তিনি গাজোল থানায় সিভিকের পেশায় কর্মরত। গত দু’বছর আগে গাজোলের বাসিন্দা হাইস্কুল শিক্ষক উৎপল সরকারের সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমেই পরিচয় হয় তার। এরপরে বন্ধুত্ব । আর তারপরেই প্রেমের গভীর সম্পর্ক দুজনের মধ্যে গড়ে ওঠে। অভিযুক্ত উৎপল সরকার বামনগোলা ব্লকের দহিল হাইস্কুলের শিক্ষক।

    ওই মহিলা সিভিক ভলেন্টিয়ারের অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই শিক্ষক তার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সহবাস করেছে। এরপরই বিয়ের কথা বলতেই ওই শিক্ষক তার সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করে। অবশেষে তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে ওই শিক্ষক । এরপরই স্ত্রীর মর্যাদার দাবি জানিয়েই সোমবার সকাল থেকেই প্রেমিকের বাড়ির সামনেই ধর্নায় বসেন সিভিক ভলেন্টিয়ার সিমাদেবী। বিষয়টি জানাজানি হতেই গোটা এলাকায় শোরগোল পড়ে যায় । পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ওই শিক্ষকের পরিবার এলাকা থেকে গা ঢাকা দেয় । এরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় গাজোল থানার পুলিশ।

    যদিও এব্যাপারে গাজোল থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।