ইয়াসে ৩০০ মানুষকে রান্না খাবার বিতরণ সিরাতের, রামপুরে

সংবাদদাতা : আমফান ঝড়ের মতো “ইয়াসে”ও ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ালো অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সিরাত সোস্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড এডুকেশনাল ট্রাস্ট।

    ৪রা জুন, শুক্রবার.।সংগঠনের সদস্যরা ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ে বিপর্যস্ত এলাকার মধ্যে অন্যতম এলাকা সন্দেশখালি আপতত বেছেনিল এর পর হিঙ্গলঞ্জ। এদিন এলাকার রামপুর, ঝুপখালি, সামন্তপাড়া, সরদার পাড়া এবং পাচুঁ মোল্লার মোড় সংলগ্ন এলাকার মানুষদের পাশে মানবিককতার পরিচয়ে ত্রাণ বিতরণ করার পর কমিউনিটি কিচেন এর ব্যবস্থা করা হয়।

    প্রথম দিনই ৩০০ মানুষের হাতে রুচিসম্মত দুপুরের আহার তুলে দেওয়া হয় রামপুর মুসলিমিয়া জুনিয়র হাই মাদ্রাসার ঈদগাহ প্রাঙ্গণ থেকে। এছাড়া প্রত্যেককে ২ লিটার মিনারেল ওয়াটারের জার দেওয়া হয়। খাদ্য বিতরণের কাজের শুভ সূচনা করেন সিরাতের রাজ্য কমিটির সভাপতি ও আল হেরা অ্যাকাডেমির সম্পাদক হাজি আকবর আলি,সিরাতের রাজ্য সম্পাদক ও বিশিষ্ট শিক্ষক আবু সিদ্দিক খান,
    এদিন বিশেষ ভাবে যারা আন্তরিক সহযোগিতা করেন আজগার খান, শুকুর আলি, সফিকুল ইসলাম ঘোরামী, কুতুবউদ্দিন, হাজি আব্বাস আলি, মাওলানা মোশারাফ ঘারামী, মনিরুল ইসলাম প্রমুখ। সিরাতের রাজ্য সভাপতি হাজি আকবর আলি সাহেব বলেন, মানুষ এখনো দুমুঠো আহারের জন্য এতো কষ্ট করে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছে, ত্রাণের গাড়ি গ্রামে ঢুকলে মানুষ হুড়োহুড়ি করে রাস্তায় চলে আসছে। এ এলাকার মানুষ বড়ই কষ্টে আছে তাই আমরা হয়তো এদের তেমন কিছু দিতে পারিনি তবে সামান্য খাবারের ব্যবস্থা করে নিজেরা একটু তৃপ্তি পেলাম। আমরা নিজেরা রান্না করে হাতে তুলে দিতে পারলাম।আল্লাহ চাইলে আমরা আবারও আসবো।
    সিরাত সম্পাদক আবু সিদ্দিক খান বলেন, আমাদের এই উদ্যোগে যারা সহযোগিতা করেছেন আমি মনে এটা সাদাকায়ে জারিয়া মুলক কাজ। এর উত্তম প্রতিদান নিশ্চিত মহান সৃষ্টি কর্তা দেবেন।

    আমি এই এলাকার ভূমি পুত্র। সচক্ষে দেখেছি কিভাবে নদী ভাঙ্গন। জল উচ্ছ্বাসের ফলে কয়ক ঘন্টার মধ্যে গ্রাম গুলো ভেসে গেল। আজ এই কঠিন পরিস্থিতিতে মানুষ একটু পানীয়জল, বাচ্চাদের খাবারের জন্য হাহাকার করছে। তাই তিনি সকল শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষকে এই ‘ইয়াস’ দুর্গতদের পাশে থাকার জন্য সামর্থ অনুযায়ী এগিয়ে আসার আহবান জানান। তিনি সরকারেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন, যাতে কংক্রিটের নদী বাঁধ নির্মাণ হয়।