|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : মদ্যপ অবস্থায় প্রথমে বেধড়ক মারধর, তার পর বাবাকে খুনের অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। বাঁকুড়ার জয়পুর থানার মাগুরা গ্রামের ঘটনা। মৃতের নাম রাখাল দাস বলে জানিয়েছে পুলিশ। বয়স ৫৭ বছর। অভিযুক্ত সন্দেহে তাঁর বড় ছেলে, সুমন দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে।স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকয় একটি দোকানে কাজ করতেন রাখাল দাস। গতকাল, সোমবার রাতে দোকানের কাজ সেরে বাড়িতে ফিরে স্ত্রীর সঙ্গে বচসা শুরু হয় প্রৌঢ়ের। বচসা চূড়ান্ত আকার নিলে মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে বাবার টু্ঁটি টিপে ধরে সুমন, অভিযোগ এমনই। পরে ছোট ছেলে বাবাকে ছাড়াতে গেলে লাঠি দিয়ে ভাই ও বাবা, দুজনকেই বেধড়ক মারধর করে সুমন, আরও অভিযোগ। ছেলের লাঠির আঘাতে গুরুতর জখম অবস্থায় ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন রাখাল। পরে তাঁকে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আজ সকালে চিকিৎসারত অবস্থায় রাখালের মৃত্যু হয়। এরপরই জয়পুর থানার পুলিশ অভিযুক্ত হিসেবে সুমনকে গ্রেফতার করে। আজ তাকে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়েছে।গত এপ্রিলে সন্তানদের বিরুদ্ধে বাবাকে খুনের অভিযোগ ওঠে নরেন্দ্রপুরে। নাম জড়ায় মৃতের স্ত্রীরও। জানা যায়, নিজের বাড়িতেই খুন হতে হয়েছিল ৪২ বছর বয়সি শেখ গোলাম মোহাম্মদকে। । ঘটনাটি ঘটেছিল নরেন্দ্রপুর থানায় এলাকার খেয়াদা দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তিন নম্বর খুদিরাবাদ গ্রামে। খুনের অভিযোগ ছিল মৃত ব্যক্তির স্ত্রী ও তার দুই ছেলের বিরুদ্ধে। মৃতের মা এবং ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে মৃতের বড় ছেলে সাহিল মোহাম্মদ, ছোট ছেলে সাব্বির মোহাম্মদ, ও মৃতের স্ত্রী ওশিদা বিবিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদে ওই তিন জন স্বীকার করেন. তাঁরাই খুনের নেপথ্যে। মৃত ব্যক্তি পেশায় গাড়ি চালক ছিলেন। বেশ কিছুদিন তাঁর গাড়ি বন্ধ থাকায় রোজগার কমে যায়। সংসার চালানোর ক্ষেত্রে দুই ছেলে ও স্ত্রীর সঙ্গে ওই মৃত ব্যক্তির বচসা ও ঝামেলা চলছিল কয়েকদিন ধরে। রাগ করে অভিমানে দু-তিন দিন বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন শেখ গোলাম মোহাম্মদ। ঘটনার আগের দিন সকালে আবার বাড়িতে ফিরে আসেন তিনি। তার পরদিন সকালে মৃতের মায়ের কাছে খবর যায়, ছেলে মারা গিয়েছেন। তখনই মা, বাকিদের নিয়ে থানায় খবর দেন। ঘটনাস্থলে আসে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। মা ও মৃতের ভাইদের অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজনকে আটক করে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ।