কলকাতার গণসংগঠনগুলির একযোগে প্রতিবাদ সভা যাদবপুরে।

লুতুব আলি, ১৪ এপ্রিল : বেসরকারি করণ সহ,এন আর সি,অভিসন্ধি মূলক কর্পোরেট সংস্থার অনুপ্রবেশ ঘটানো, ফ্যাসিবাদী স্বাস্থ্য পরিকাঠামো গড়ে তোলা সরকারের জনবিরোধী কর্মসূচি গড়ে তোলার ব্যাপারে প্রতিবাদ জানাতে রাজ্য স্তরের গণসংগঠন গুলি এক ছাতার তলায় এসে প্রতিবাদ করছে। ১৩ এপ্রিল সম্মিলিতভাবে সং গঠন গুলি যাদবপুর ৮ বি বাস স্ট্যান্ডে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছিল। এই প্রতিবাদ সভায় যে সমস্ত গণসং গঠন গুলি সমবেত হয়ে ছিল সেগুলি হল : আজাদ গণ মোর্চা, মজনুর ক্রান্তি পরিষদ, প্রগ্রেসিভ ইউথ লিগ, ইন্ডিয়ান ফেডারেশন অফ ট্রেড ইউনিয়নস, প্রগ্রেসিভ ডেমোক্রেটিক স্টুডেন্ট ফ্রন্ট, এ পিডিআর, নো এনআরসি মুভমেন্ট, সেন্টার ফর সোশ্যাল একটিভিটিজম, জনস্বাস্থ্য মোর্চা, শ্রমিক কৃষক শিক্ষার্থী ঐক্যমঞ্চ, সমাজ বিজ্ঞান ও প্রকৃতি পরিচয়, নিউ ট্রেড ইউনিয়ন ইনিশিয়েটিভ ও গণধিকার মঞ্চ। প্রতিবাদ সভায় যে বিষয়গুলি নিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয় সেগুলি হল : জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে। জল জঙ্গল জমির উপর কর্পোরেট লুঠ ঠেকাতে হবে। সাধারণ মানুষের জীবন জীবিকা খাদ্য স্বাস্থ্য শিক্ষা সংস্কৃতি পরিবেশ নাগরিকত্ব সহ সমস্ত অধিকারের উপর আক্রমণ বন্ধ করতে হবে।এছাড়াও ছত্রিশগড়ের বস্তারে মাওবাদী দমনের নামে ড্রোন ও হেলিকপ্টার থেকে বোমাবর্ষণের তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। হিন্দুত্ব ফ্যাসিস্ট সরকারি ব্যবস্থাপনায় অনুপ্রবেশ ঘটানোয় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। ফ্যাসিবাদী শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য কাহিনী স্বার্থকে কাজে লাগানো হচ্ছে। এছাড়াও প্রস্তাবিত জনস্বাস্থ্য বিল লাগু করানোর প্রয়াস চালানো হচ্ছে। পশ্চিমঘাট পাহাড়ের জঙ্গল ধ্বংস, সুন্দরবনের ব্যাপক হারে গাছ কাটা, যশোর রোডে ঐতিহাসিক গাছগুলিকে কেটে ফেলা, ফারাক্কাতে আদানি গ্রুপ ফলের বাগান নষ্ট করে ইলেকট্রিকের হাই টেনশন তার নিয়ে যাওয়ায় তীব্র বিরোধিতা করা হয়। এই প্রতিবাদ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এ পি ডি আর এস রাজ্য সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত সুর, সহ-সম্পাদক আলতাব আহমেদ, আজাদ গণ মোর্চার প্রসূন চ্যাটার্জি,পি ডি এস এফ র শিল্পক,প্রতি ভাস্য, দেবব্রত চক্রবর্তী,ডি লিজেন্ট সুমিত সরকার, শৌভিক মু খার্জি,অরিন্দম দে প্রমুখ।