বর্ধমান শহরের শাঁখারিপুকুর এলাকায় গলায় কাপড়ের ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করল নাবালিকা

নিজস্ব সংবাদদাতা : বর্ধমান শহরের শাঁখারিপুকুর এলাকায় গলায় কাপড়ের ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করল নাবালিকা। মেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে দেখে পাশেই সিলিং ফ্যানে শাড়ির ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করতে চায় মা-ও। প্রতিবেশীরা ফাঁস কেটে দিলে তিনি প্রাণে বেঁচে যান। তবে পড়ে গিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত লাগে। তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সুস্থ রয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।
অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ওই স্কুল ছাত্রী কেন আত্মঘাতী হল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।অভিযোগ দাদু-ঠাকুমার কথা সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হয়েছে ওই ছাত্রী। ইতিমধ্যেই দাদু ঠাকুমার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ বর্ধমান থানায় দায়ের হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত দাদু- ঠাকুমা ঘটনার পর থেকে এলাকা ছাড়া। তাদের খোঁজ চালানো হচ্ছে।মৃত ছাত্রীর নাম জয়শ্রী ঘোষ। বাবা বিজয়কৃষ্ণ ঘোষ কলকাতা কর্পোরেশনের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী। বাবা কর্মসূত্রে কলকাতায় ছিলেন। মা অপর্ণা ঘোষ বাজারে গিয়েছিলেন। সেই সময়েই এই ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, বিজয়কৃষ্ণবাবুরা দুই ভাই। তিনি ছোট। সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে পরিবারে বেশ কিছুদিন ধরেই চরম অশান্তি চলছিল। অভিযোগ, বিজয়কৃষ্ণ বাবুর বাবা-মা তাঁকে বঞ্চিত করে সব সম্পত্তি বড় ছেলেকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। বিজয়কৃষ্ণবাবু বাড়ির প্রাপ্য অংশ দাবি করেছিলেন। কিন্তু তা দিতেও টালবাহানা চলছিল। সেই অশান্তিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন জয়শ্রীও। অভিযোগ, বাবা মায়ের অনুপস্থিতে তাকে কটু কথা বলেন দাদু ঠাকুমা। তার জেরেই আত্মঘাতী হয় জয়শ্রী। তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে আত্মহত্যার চেষ্টা করে তার মা-ও। উদ্ধার করেন প্রতিবেশীরা।