জম্মু-তাওয়াই এক্সপ্রেসে ভয়াবহ ডাকাতি! চলন্ত ট্রেনে চলল গুলি

নিজস্ব সংবাদদাতা : ফের চলন্ত ট্রেনে চলল গুলি। ঝাড়খণ্ডের লাতেহার ও বারওয়াডিহি স্টেশনের মাঝে জম্মু-তাওয়াই এক্সপ্রেসে ভয়াবহ ডাকাতি। হামলায় জখম হন বেশ কয়েকজন যাত্রী। অভিযোগ, গতকাল রাত ১১টা ২২-এ জম্মুগামী সম্বলপুর-জম্মু-তাওয়াই এক্সপ্রেস লাতেহার স্টেশন ছাড়াতেই S-9 কামরায় হানা দেয় জনা দশেক সশস্ত্র ডাকাত। যাত্রীদের ভয় দেখাতে শূন্যে গুলিও ছোড়ে। টাকা, গয়না, মূল্যবান সামগ্রী লুঠপাটের পর, তারা বারওয়াডিহি স্টেশনের আগেই নেমে পালায় ডাকাতরা। এই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে দূরপাল্লার ট্রেনে যাত্রী নিরাপত্তা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে যে, শনিবার রাত ১১টা নাগাদ লাতেহার স্টেশন থেকে ৭-৮ জন ডাকাত ট্রেনে ওঠে। এবার লাতেহার ও ডালটনগঞ্জের মাঝামাঝি জায়গায় ট্রেনের S9 বগি লুট করে। শুধু তাই না, ডাকাতির সময় ৮-১০ রাউন্ড গুলিও চালায় তারা এবং ট্রেনে উপস্থিত মহিলাদের সাথে অভব্য আচরণ করে। লুঠ হয়ে গেলে বারওয়াডিহ স্টেশন আসার ঠিক আগেই চেন টেনে ট্রেন থামিয়ে চম্পট দেয় সকলে, এমনটাই এরপর ডালটনগঞ্জ স্টেশনে ট্রেন থামলে সেখানে হট্টগোল সৃষ্টি করেন যাত্রীরা। এমনকি ওই লাইনে প্রায় ২ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। আহত হয়ে যাওয়া যাত্রীদের চিকিৎসার পর আবারও ট্রেনে তুলে দেওয়া হয়। যাওয়ার আগে উপস্থিত যাত্রীরা পুলিশকে জানান যে, লাতেহার স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়ার পর ধীরগতিতে চলার সময় ১০ থেকে ১২ জন মুখোশধারী অস্ত্রধারী S9 কোচে ওঠে।

     

    হামলা চালানোর সময় ৮ জনকে মারধোরও করে দুষ্কৃতীরা। যদিও ট্রেনের মধ্যে গুলির খালি শেল উদ্ধার হয় কিন্তু বুলেট পাওয়া যায়নি কোথাও। উল্লেখ্য, যাত্রীরা আরো জানান ডাকাত দলের মধ্যে একজনের বয়স ৪০ এর আশেপাশে এবং বাকি সবার ২৫ থেকে ৩০ এর মধ্যে হবে। অপরাধীরা যে পথ দিয়ে জঙ্গলে পালায় সেই স্থানে গিয়ে তল্লাশিও চালায় রেল পুলিশ। ঘটনাটি নিয়ে নিকটবর্তি ডালটনগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। আপাতত মামলার তদন্ত চলছে এবং যাত্রীদের কার কি খোয়া গিয়েছে তার খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।