|
---|
নিজস্ব প্রতিবেদক:- রাস্তায় ৫০ হাজার টাকার বান্ডিল কুড়িয়ে পেয়ে ফেরত দিলেন এক গ্রামসম্পদ কর্মী। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের জামতাড়ার বাসিন্দা শেখ সাইফুল ইসলাম সোমবার বুদবুদ থানার মাধ্যমে টাকা ফিরিয়ে দেন আউশগ্রামের অমরারগড়ের বাসিন্দা স্নেহাশিস খাঁ-কে। তাঁর সততাকে কুর্নিশ জানিয়ে বিডিও (আউশগ্রাম ২) গোপাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওঁর এই সততাকে সাধুবাদ জানাই। এই আদর্শ সকলের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ুক।’’স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর আটত্রিশের সাইফুল আউশগ্রাম ২ ব্লকে কাজ করেন। তাঁর স্ত্রী সোফিয়া ইয়াসমিনও একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মী। স্থানীয় জামতাড়া (আউশগ্রাম ২) ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রোগী সহায়িকা হিসাবে কাজ করেন তিনি। বৃদ্ধ বাবা ও ন’বছরের মেয়েকে নিয়ে তাঁদের চার জনের সংসার। রবিবার বুদবুদের বেলেডাঙার একটি অনুষ্ঠান বাড়ি থেকে সাইফুল ও সোফিয়া মোটরবাইকে জামতাড়া ফিরছিলেন। সাইফুল জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ মানকরে বিদ্যাসাগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে, রাস্তার উপরে একটা ৫০০ টাকার বান্ডিল পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। মোটরবাইক দাঁড় করিয়ে সেটি কুড়িয়ে নিয়ে আশপাশে খোঁজখবর করেন। সাইফুলের কথায়, ‘‘কেউ টাকার খোঁজ করলে তাঁকে আমার কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার কথা বলি। মোবাইল নম্বরও দিই। পরে, সামাজিক মাধ্যমেও বিষয়টি জানাই।’’ এ দিকে, টাকা হারিয়েছে বুঝতে পেরে ওই এলাকায় খোঁজখবর করতে যান পেশায় ঠিকাদার স্নেহাশিস খাঁ। মোবাইল নম্বর পেয়ে যোগাযোগ করেন সাইফুলের সঙ্গে।স্নেহাশিস জানান, জিএসটি-র বিল দেওয়ার জন্য দেড় লক্ষ টাকা ব্যাগে নিয়ে মোটরবাইকে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। পৌঁছে দেখেন বাইকের সাইলেন্সার পাইপের আঁচে ব্যাগের একাংশ পুড়ে গিয়েছে। সেই ফাঁক গলে পড়ে গিয়েছে টাকার বান্ডিল। তাঁর কথায়, ‘‘আমার গ্রামে একটা বান্ডিল পড়েছিল। সেটা ফেরত পাই। আর একটা বান্ডিল জামতাড়ার সাইফুল পেয়েছেন জানতে পারি। তাঁকে অনেক ধন্যবাদ। অন্য কেউ পেলে, কী হত জানি না!’’ সাইফুলের স্ত্রী বলেন, ‘‘আমাদের রোজগার সামান্য। কিন্তু অন্যের টাকা নিতে পারব না। টাকা ফিরিয়ে দিতে সব রকম ভাবে চেষ্টা করেছিলাম। বিডিও-র নির্দেশে পুলিশকে জানিয়েই ওই টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।’’