|
---|
দেবজিৎ মুখার্জি, কলকাতা: বুধবার রাত ৮টা বেজে ৫০ মিনিট নাগাদ ইডি-র দফতর থেকে বেরোন অভিষেক। বৃষ্টির মধ্যেই ছাতা নিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন। সেখানে বলেন, “আগে জিজ্ঞাসাবাদের নির্যাস শূন্য বলেছিলাম, আজ বলছি মাইনাস ২। শুধু সময় নষ্ট। যাঁরা ইডি-র দফতরে কাজ করছেন, তাঁদের কোনও দোষ দিই না আমি। তাঁরা তাঁদের কর্তব্য পালন করছেন।”
নাম না করে এদিন সরাসরি বিজেপি এবং কেন্দ্রকেও নিশানা করেন অভিষেক। বলেন, “রাজনৈতিক প্রভুদের খুশি করতে অনেক সময়, অনেক কাজ ইচ্ছের বিরুদ্ধেই করতে হয় ইডি-কে। তাঁদের কোনও কর্মীকে দোষ দিই না আমি। সিবিআই দফতরে গিয়েও একই কথা বলেছিলাম। আজও বলছি। ন’-সাড়ে ন’ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদের নির্যাস মাইনাস ২। আবার যদি ডেকে পাঠায় মাইনাস ৪ হবে।”
এদিন অভিষেক জানান, ইডি-র সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তিনি। ভবিষ্যতে প্রয়োজন পড়লে ফের আসবেন বলেও জানিয়ে এসেছেন। নয় বা সাড়ে নয় ঘণ্টা নয়, দরকার পড়লে ২৪ ঘণ্টার জেরাতেও আপত্তি নেই বলে জানান তিনি। অভিষেক জানান, পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর ১৪ মাস পেরিয়ে গিয়েছে। সারদা মামলায় ২০১৪ থেকে ২০২৩ এসে গিয়েছে, সাড়ে নয় বছযরে ট্রায়াল শুরু হয়নি। নারদকাণ্ডে মেরুদণ্ড বিক্রি করে যারা অন্যত্র চলে গিয়েছে, তাদের ডেকে পর্যন্ত পাঠানো হয়নি। সারদায় কত জন টাকা ফেরত পেয়েছেন, প্রশ্ন করেন অভিষেক। এই যদি কেন্দ্রীয় সংস্থার ভূমিকা হয়, তাহলে তাদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকে বলে মন্তব্য করেন অভিষেক।
ক্যামেরার সামনে, টিভির পর্দায় যাঁদের হাত পেতে টাকা নিতে দেখা যায়, তাঁদের ডাকা হচ্ছে না কেন, কখনও হাইকোর্ট তা বলে না কেন, প্রশ্ন তোলেন অভিষেক। ইডি-কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে অভিষেক জানান, তাঁর বয়ান আদালতে জমা করুন তদন্তকারী আধিকারিকরা। তাঁর যুক্তি, প্রথম দিন থেকে আজও একই কথা বলে আসছেন তিনি। দু’মাস-চার মাস অন্তর অন্তর ডাকা একটা রেওয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছে ইডি-সিবিআই-এর। এর নির্যাস শূন্য। দোষীরা শাস্তি পেয়েছে বা কেউ ন্যায় বিচার পেয়েছেন, ইডি-সিবিআই এমন নজির দেখাতে পারবে না বলেও মন্তব্য করেন অভিষেক।