জয়নগর কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত সহ গ্রেফতার ৩

হাসান লস্কর, জয়নগর: গত সোমবার খুন হন জয়নগর থানার বামুনগাছি গ্ৰাম পঞ্চায়েতের সদস্য তথা অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা সাইফুদ্দিন লস্কর। এই ঘটনায় সোমবার দলুয়াখাকী গ্রামের বাসিন্দা আনিসুর রহমান লস্করের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে সাইফুদ্দিন লস্করের পরিবারের লোকজন। ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন আনিসুর রহমান।ঐদিন শাহারুল সেখ নামে এক ব্যাক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আদালতে উঠার আগেই নাম জানায় ধৃত শাহারুল। তার পরে কুলতলী, বকুলতলা, জয়নগর, বারুইপুর থানার পিসি পার্টির টিম নিয়ে সিট গঠন করে বারুইপুর পুলিশ জেলার আধিকারিক। তার পরই বৃহস্পতিবার নদিয়ার হরিনঘাটা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে ধৃতকে। তার সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে কামালউদ্দিন ঢালি নামে আরও একজনকে দুজনেই খুনের যুক্ত ছিল বলে দাবি পুলিশের।

    পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনার পর বাসন্তী থেকে গোসাবা, সন্দেশখালি হয়ে নদিয়ায় তারা। রানাঘাট পুলিশের সহায়তায় নদিয়া জেলার মোহনপুর ফাঁড়ি থেকে তাদের ধরা হয়।ধৃতদেরকে নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকাল পাঁচটায় বারুইপুর পুলিশ জেলার পক্ষ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করেন এসপি পলাস চন্দ্র ঢালী। দোলুয়াখাকি গ্ৰামে সিপিআইএমের কর্মীদের একাধিক বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেয় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা। সেই সমস্ত পরিবারদের সদস্যদের সাহায্য করতে সিপিআইএম দলের রাজ্য কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী ও প্রাক্তন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের দেখতে গেলে তাদেরকে পুলিশ সেখানে ঢুকতে দেয় নি। ভাঙ্গরের বিধায়ক তথা আই এস এফ নেতা নওশাদ সিদ্দিক দাবি করেন তাদের কর্মীদের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। সেই সমস্ত পরিবারদের সাহায্য দিতে যান আইএসএফ নেতা। সে ক্ষেত্রে তাদের এলাকায় ঢুকতে না দেওয়ায় পুলিশের সঙ্গে বাগ-বিতণ্ডায় জড়ায়। ঘরছাড়া ব্যক্তিদেরকে ঘরে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা শুরু করেছেন জেলা পুলিশের একাধিক আধিকারিক।