|
---|
বাবিন বড়ুয়া : সাতান্ন জন চিত্রশিল্পী, আলোকচিত্রী এবং ভাষ্কর শিল্পীর বিভিন্ন মাপের একশো কুড়িটি শিল্পকর্ম নিয়ে আইসিসিআর-এ হয়ে গেল আর্টভার্স-এর জমজমাট প্রদর্শনী। যেমন ছিল প্রথিতযশা শিল্পী, তেমনই ছিল নতুন প্রজন্মের এক ঝাঁক তরুণ শিন্পীর চোখ ধাঁধানো কাজ। মূলত অয়েল, অ্যাক্রেলিক, রেখাচিত্র, মধুবনী এবং ভাষ্কর্য থাকলেও, ছিল জলরঙের অনবদ্য চিত্রকলা।আইসিসিআর-এ মাটির সরায় মুঠো মুঠো গোলাপের পাপড়ি দিয়ে তিন দিন ব্যাপী ‘আর্টভার্স উইন্টার কার্নিভাল ২০২০’ -র উদ্বোধন করলেন গভারমেন্ট আর্ট কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ দীপালি ভট্টাচার্য, রোটারি সদনের প্রেসিডেন্ট বুলবুল কুন্ডু, আইসিসিআর-এর রিজিওনাল ডিরেক্টর গৌতম দে, ইন্ডিয়ান মিউজিয়ামের এডুকেশন অফিসার সায়ন ভট্টাচার্য, মেট্রো রেলের ডিজিএম প্রত্যুষকুমার ঘোষ, বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সিদ্ধার্থ সিংহ, অভিনেতা সৌরভ ঘোষ, বিশিষ্ট সাংবাদিক এবং চিত্রপরিচালক সুদেষ্ণা রায়-সহ আরও অনেকে।যখন গোটা পৃথিবী জুড়ে ছবির বাজারে ভয়ানক মন্দা চলছে, তখন এই প্রদর্শনী থেকেই বিক্রি হয়ে গেল বেশ কয়েকটি ছবি। যা তরুণ শিল্পীদের আরও কাজ করাতে অনুপ্রেরণা যোগাবে। এ দিন সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আর্টভার্স-এর কর্ণধার শুভঙ্কর সিংহ, যিনি ইতিমধ্যে ‘গভ : এনসিয়েন্ট এলিয়েন অর আ মিথ’ নামে একটি ঢাউস ইংরেজি বই লিখে গোটা বিশ্ব জুড়ে সাড়া ফেলে দিয়েছেন, যাঁর ছবি প্রদর্শিত হলেই শুধু দেশ নয়, বিদেশ থেকেও বায়ার্স এসে কিনে নিয়ে যান ছবি, এই মুহূর্তে যিনি বিগ বাজেটের দু’-দুটো ছায়াছবি করার জন্য অপেক্ষা করছেন, পেশায় মেরিন ইঞ্জিনিয়ার শুভঙ্কর সিংহ বললেন আমি এই প্রদর্শনীগুলোর মাধ্যমে সাধারণ লোকের ছবি, ভাস্কর্য এবং ফটোগ্রাফি দেখার চোখ তৈরি করে দিতে চাই। আমি বিশ্বাস করি, তাঁদের চোখ তৈরি হলেই তাঁরা বিয়েতে উপহার হিসেবে আর শাড়ি বা গয়না নয়, ছবিই তুলে দেবেন। ঘর সাজাবেন ভাস্কর্য দিয়ে। বুকে আগলে রাখবেন এক-একটি অসামান্য ফোটোগ্রাফি। তাই আমি গড়ে তুলেছি এই শিল্পপ্রতিষ্ঠান আর্টভার্স। এই আর্টভার্সের তরফ থেকে যে ছবিগুলো প্রদর্শিত হয়, সেগুলো নির্বাচন করেন বেশ কয়েক জন স্বনামধন্য শিল্পী, শিল্প সমালোচক এবং শিল্পবোদ্ধা।আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের নির্বাচিত ছবিগুলো বিক্রি হবেই। আর এই ভরসাই় আমাদের সাহস জুগিয়েছে এই প্রদর্শনী করার। মাথার উপর হাত রেখেছেন যোগেন চৌধুরী, ওয়াশিম কপূর, তাপস কোনার, লীনা গঙ্গোপাধ্যায়, সন্দীপ রায়, গৌতম ঘোষ, নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ীর মতো জ্ঞানীগুনীরা। এঁরা যখন আমাদের সঙ্গে আছেন, আমরা সফল হবই। কিন্তু এত নাম থাকতে হঠাৎ ‘আর্টভার্স’ কেন? এ প্রসঙ্গে আর্টভার্সের প্রতিষ্ঠাতা-কর্ণধার শুভঙ্কর সিংহ বললেন বিজ্ঞানীরা যখন জানতেন ব্রহ্মাণ্ড একটাই, তখন তার নাম দিয়েছিলেন উইনিভার্স। পরে যখন বুঝলেন ব্রহ্মাণ্ড আসলে একটা নয়, তখন তার নাম দিলেন মাল্টিভার্স। আমি এমন একটা দগৎ তৈরি করতে চাই, যেখানে শুধু আর্টিস্ট আর তাঁদের আর্টই থাকবে। তাই নাম দিয়েছি ‘আর্টভার্স।