|
---|
দেবজিৎ মুখার্জি: আগামিকাল, শনিবার রাজপুতানায় কংগ্রেস-বিজেপির দ্বৈরথ। বিধানসভা ভোটের এই মহাযুদ্ধে কংগ্রেস দুর্গ অটুট রাখতে পারবে, নাকি ফের গড়ের দখল নেবে বিজেপি! জাতীয় রাজনীতিতে এটাই এখন চর্চার বিষয়।
মোট ২০০ সদস্যবিশিষ্ট রাজস্থান বিধানসভায় কাল ১৯৯টি আসনে ৫ কোটি ভোটার নতুন সরকার নির্বাচন করতে চলেছেন। একটি কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থীর মৃত্যুতে সেখানে ভোট স্থগিত রয়েছে। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, গোটা রাজ্যে কংগ্রেসের পক্ষে হাওয়া বইছে। আমি সেই হাওয়া টের পাচ্ছি। যেসব গ্রামে আগে বিজেপির আধিপত্য ছিল, সেখানেও কংগ্রেস সমর্থন পেতে চলেছে।
আদতে রাজস্থানের রাজনৈতিক চালচিত্র দশকের পর দশক ধরে পরিবর্তনের ধারা বয়ে চলেছে। ক্ষমতার হস্তান্তর রাজপুত রাজনীতির রক্তে প্রবহমান। সেই হিসাবকে ধরলে এবার সরকার বিরোধী ভোট জুটতে পারে বিজেপির কপালে। ২০১৮ সালে কংগ্রেস ৯৯টি আসন পেয়ে সরকার গঠন করেছিল। অন্যদিকে, বিজেপি পেয়েছিল ৭৩টি আসন। ফলে পাঁচ বছর পর ভোটাররা ফের গান্ধী পরিবারের হাত ধরবেন, নাকি নরেন্দ্র মোদির ডাবল ইঞ্জিন সরকারের দিকে হাত বাড়াবেন, তা কালই নির্ধারণ হবে।
এদিন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে তথা ঝালওয়ার কেন্দ্রের প্রার্থী মন্দিরে পুজো দেন। কংগ্রেস অশোক গেহলটকে মুখ্যমন্ত্রী মুখ করে ভোটে নামলেও বিজেপি এখনও তেমন কাউকে প্রজেক্ট করেনি। বেশ কিছু বিজেপি নেতাকে নিয়ে চর্চা চলছে। তবে শুক্রবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সিপি জোশি নিজেকে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সির দৌড় থেকে দূরে রেখেছেন। তিনি এদিন বলেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে রাজস্থানের নতুন মুখ্যমন্ত্রীকে প্রথম মালা পরানোর জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন। এর ফলে মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে বিজেপির মধ্যে একটি বিভ্রান্তি স্পষ্ট রয়েছে। বহু নেতার নাম ভেসে উঠছে যাঁদের সঙ্গে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরার মুখ দেখাদেখি নেই।
অন্যদিকে, অশোক গেহলটের সঙ্গে কংগ্রেসের তরুণ তুর্কি নেতা শচীন পাইলটের মতানৈক্য নিয়ে বিজেপি কূটকচালি করে গিয়েছে প্রচারে। এ বিষয়ে রাজেশ পাইলট-পুত্র সমস্ত দ্বন্দ্ব কাটিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, আমাকে নিয়ে কারও উদ্বেগের কারণ নেই। পরোক্ষে মোদিকেই কটাক্ষ করেন তিনি। বলেন, আমাকে নিয়ে আমার পার্টি এবং জনতা ভাবলেই চলবে। আমরা আদর্শের জন্য লড়াই করি। শুধু রাজ্যই নয়, দেশেও কংগ্রেস এই লড়াইয়ে বিজয়ী হবে, দাবি পাইলটের।