এতিম শিশুদের বিচরনভূমি বাসন্তীর দারুল উলুম রহমানিয়া মাদ্রাসা

লিটন রাকিব : প্রকৃতির কোলে সবুজের ছায়াঘেরা পরিবেশে এতিম শিশুদের বিচরনভূমি বাসন্তীর দারুল উলুম রহমানিয়া মাদ্রাসা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্যানিং মহকুমা থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার ভিতরে মাতলা নদীর চরে বাসন্তীর ছোট গেঁওখালিতে ২০১৬ সালে নিজের বাড়িতেই শুরু করেন মক্তব। দুস্থ অসহায় গরিব এতিম বাচ্চাদের সাহায্যের জন্য নিজের বাড়িতেই রান্না করে তাদের খাওয়াতেন। নিজের বাড়িতেই আশ্রয় দিয়েছিলেন অনাথ বাচ্চাদের নিজের পরিবার সেই সময় রান্না ঘরেই দিন কাটাতেন। মওলানা আব্দুর রহমান ও তার পরিবারের এভাবেই দীর্ঘ তিন বছর ধরে লড়াই চলে। এরপর ২০২০ সালে ওয়েস্ট বেঙ্গল সোসাইটি রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্টের আওতায় রেজিস্ট্রি করা হয় তার সংস্থাকে। গড়ে তোলেন এক বিঘা জমির উপর অনাথ শিশুদের জন্য দারুল উলুম রহমানিয়া মাদ্রাসা বর্তমানে সম্পূর্ণ ইসলামিক পরিবেশে আবাসিক শিক্ষার্থীরা এখানে পঠন-পাঠন করছে পাঁচজন শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে। বর্তমানে ৬০ জন এতিম বাচ্চার স্থায়ী ঠিকানা। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি চালাতে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের যোজন যোজন পার্থক্য রয়ে গেছে বিপুল অর্থের যোগান এবং পরিকাঠামো চালাতে তারা হিমশিম খাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ অর্থের সংকটের অভাবে নাজেহাল হয়ে পড়ছেন। বন বিভাগের সাথে সহযোগিতায় মধু ব্যবসা থেকে বাড়তি অর্থ-র সংস্থান আর দানের টাকায় চলছে প্রতিষ্ঠানটি। এরপরেও মিটছে না পুরোপুরি সমস্ত খরচ, ঘাটতি থেকেই যাচ্ছে। তাই খরচ কমাতে  মোহতারমা শরিফা সরদার সম্পূর্ণ বিনামূল্যে রান্নাবান্নার কাজ সামলাচ্ছেন পরিবারের সকলেই স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন এবং সেই সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কৃষ্ণনগরের নুরুল হক, জয়নগরের হাফেজ আব্দুর রহিম, হিঙ্গলগঞ্জের মওলানা আকরাম সাহেবের অক্লান্ত পরিশ্রমে এগিয়ে চলেছে। বহু বাধা-বিপত্তি সত্বেও পুষ্টিকর আহার ও প্রাতরাশের সুব্যবস্থা করতে পেরেছে প্রতিষ্ঠানটি। খাদ্য তালিকায় মাছ, সয়াবিন, সবজি, ডিম, দুধ রাখতে তারা সমর্থ হয়েছে। নামাজ পড়ার জন্য বৃহৎ হল রুম রয়েছে শিক্ষকদের থাকার জন্য রয়েছে দু-দুটি কক্ষ। শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে একাধিক  কক্ষ। অর্থের অভাবে অনেক কাজ অসমাপ্ত রয়েছে পাবলিক টয়লেট বাথরুম অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার সুব্যবস্থা রয়েছে। এই মুহূর্তে মিশনের প্রয়োজন রয়েছে বিল্ডিং এবং অবশ্যই বাউন্ডারিরও প্রয়োজন রয়েছে চারিদিকে। নিচু জলাভূমি হওয়ার জন্য বর্ষাতে জল জমে সেজন্য পরিকাঠামো গড়ে তোলা এবং অবশ্যই সর্বোপরি আশু প্রয়োজনের মধ্যে রয়েছে দৈনন্দিন খাবারের সুনিশ্চিতকরন। এতিম বাচ্চাদের এরকম একটি প্রতিষ্ঠানকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য আমাদের সকলের এগিয়ে আসা অবশ্যই কর্তব্য তা না হলে অচিরেই থমকে যেতে পারে এর কর্মকাণ্ড যে কোন রকমের সাহায্যের জন্য আপনারা যোগাযোগ করতে পারেন নং ৯৭৩২৫২০৫৭১।