|
---|
লুতুব আলি, বর্ধমান, নতুন গতি : ১৯ অক্টোবর পঞ্চমী। পঞ্চমীতেই জেলা শহর বর্ধমানের পুজো মণ্ডপ গুলিতে দর্শকদের ভিড় উপচে পড়ছে। ঠিক যেমনটি হয় তিলোত্তমা কলকাতাতে। শহর বর্ধমানে ও তার আঁচ পড়েছে। বর্ধমানের অগ্রজ ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বর্ধমান সদর প্যায়ারা নিউট্রিশন ওয়েলফেয়ার সোসাইটি প্রতিবছরের মতো এবারও তারা বর্ধমান শহর ও শহরতলীর দুস্থ কর্মহীন বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের শহরের বিভিন্ন পুজো মণ্ডপ গুলিতে প্রদর্শন করালেন। সঙ্গে দুপুরের আহার ও ফ্রি ছিল। মেনুতে ছিল ভাত, ডাল, গরম গরম বেগুনি ভাজা, আলু ভাজা, পোস্ত, সবজির তরকারি, মাংস, পনির, চাটনি, পাঁপড়, মিষ্টি। যাদের দুবেলা ঠিক মতন অন্ন জোটে না তাদের কাছে এতগুলি খাবারের পথ তাদের সামনে আসবে তারা কল্পনাও করতে পারেননি। বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা সংস্থাটি র প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন। 8 জন আদিবাসী রমণী জ্যান্ত দুর্গা সহ নানা সাজে সজ্জিত হয়ে বর্ধমান শহরের পূজো মণ্ডপ গুলি পরিক্রমা করেন। দর্শকদের তারা নজর কেড়েছেন। মশাসুর, দূষণাসুর, ট্রাফিক আইন ভঙ্গা সুরকে বধ করে সমাজকে সচেতনতার বার্তা প্রদান করেন। এদিন বর্ধমান শহরের পারবির হাটা ট্রাফিক পোষ্টের কাছে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন ট্রাফিক ওসি চিন্ময় ব্যানার্জি। বর্ধমান শহরের আলমগঞ্জ বারোয়ারি, কেশবগঞ্জ চটি, লালটু স্মৃতি সংঘ, সবুজ সংঘ, পদ্মশ্রী সংঘ, ঘোড় দৌড় চটি পুজো মণ্ডপ পরিক্রমা করে সংস্থাটি দুস্থ মায়েদের হাতে সোয়াবিনের প্যাকেট, ভোজ্য তেল, ছাতু, সুজি প্যাকেট, শোনপাপড়ি তুলে দেন। সমগ্র রাজ্যব্যাপী ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় বার্তা দেওয়ার জন্য সংস্থাটি প্রত্যেক মাকে একটি করে নতুন মশারি তুলে দেয়। সোসাইটির সম্পাদক প্রলয় মজুমদার বলেন, সমাজের সকল স্তরের মানুষ সর্বজনীন দুর্গোৎসবে যাতে সার্বিকভাবে আনন্দ উপভোগ করতে পারেন সে দিকটাই সকলের দেখা উচিত। সংস্থাটি সাধ্যমত দুস্থদের পুজোয় আনন্দ দিতে পেরে গর্ব অনুভব করছেন। ট্রাফিক ও সি চিন্ময় ব্যানার্জি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটির অভিনব প্রয়াস এ ব্যাপারে সকলকে উদ্বুদ্ধ করবে। সংস্থার মিডিয়া অফিসার অঙ্কিতা সাম বলেন, এদিনের অনুষ্ঠানে ব্যাপক সাড়া মিলেছে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রত্যাশা মজুমদার, সুদীপা মন্ডল, ঐন্দ্রিলা সাধুখাঁ, প্রীতম ঘোষ, নার্গিস লায়েক, মনীষা মন্ডল, শিল্পা অধিকারী, অয়ন মাঝি, স্নিগ্ধ দাস, লিপিকা ঘোষ সহ সংস্থার অন্যান্য সদস্য সদস্যরা।