বর্ধমান রেল স্টেশনে ভেঙে পড়লো ১৮৯০ সালের জলের ট্যাঙ্কের একাংশ, মৃত ৩

নূর আহমেদ : বর্ধমান, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩:বুধবার সকালে হঠাৎই বর্ধমান রেল স্টেশনে জলের ট্যাঙ্ক ভেঙ্গে বিপত্তি। এখনো পর্যন্ত জানা যাচ্ছে এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। আহত কমপক্ষে ২৭ জন। এই দুর্ঘটনা জেরে ব্যাহত হয় রেল পরিষেবা। ঘটনায় জখম একাধিক আহত রেল যাত্রীদের তড়িঘড়ি চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।জানা যায় ঘটনাটি ঘটে বর্ধমান রেল স্টেশনের ২ নম্বর ও ৩ নম্বর প্লাটফর্মের মাঝে। ১৮৯০ সালে তৈরি ৫৩হাজার ৮০০গ্যালন জলধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন বিশাল জলের ট্যাঙ্ক ছিল বর্ধমান স্টেশনের দুই এবং তিন নম্বর প্লাটফর্মের উপরেই। এদিন বেল ১২ টা ১৫ নাগাদ আচমকই ভেঙে পড়ে প্ল্যাটফর্মে থাকা বেশ কিছু যাত্রী উপরে । জানা যায় ট্যাঙ্কটি প্ল্যাটফর্মের শেডের ওপর ভেঙে পড়ে। দুমড়ে মুচড়ে যায় শেডের লোহার পাতি। ভারি লোহার জল ট্যাঙ্কের ভগ্ন অংশ রেল লাইনের উপর দু নম্বর লাইনের ওপর আছড়ে পরে। তার ধাক্কায় লাইনের উপর থাকা বড় বড় পাথর ছিটকে এক নম্বর প্লাটফর্মে চলে আসে। ঘটনার আকস্মিকতায় গোটা স্টেশন জুড়ে তুমুল আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।মানুষ দিকবিদিকশূন্য হয়ে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দেয়। এখনও পর্যন্ত আহতের সংখ্যা সঠিক ভাবে জানা যায়নি। পরিস্থিতি সামাল দিতে জোর কদমে কাজ করছেন আরপিএফ, জিআরপি, বর্ধমান থানার পুলিশ, রেলের আধিকারিক সহ রেলের ইঞ্জিনিয়াররা।  দমকল ও বিপর্যয় মোকাবেলা দপ্তরের কর্মীরা উদ্ধার কাজে হাত লাগায়।ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাজি, পুলিস সুপার আমনদীপ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহ রায়, বর্ধমান থানার আই.সি সুখময় চক্রবর্তী।পুলিশ সুপার আমনদীপ জানান, এই দুর্ঘটনার জেরে আহত হয়েছে ২৭ জন এবং মৃত্যু হয় ৩ জনের। ঘটনাস্থল এসে হাজির হয়েছিলেন পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র। তিনি জানিয়েছেন এই মুহূর্তে রেল চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং ঠিক কি কারণে জলের ট্যাংক ভেঙ্গে পড়ল তা খতিয়ে দেখার জন্য একটি ইনকোয়ারি কমিটি গঠন করা হয়।