|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাগিং এর ঘটনার অভিযুক্ত ও গ্রেপ্তার হওয়া সৌরভ চৌধুরীকে বাংলা পক্ষ সংগঠনের সদস্য বলে অপপ্রচার করছেন গত দুদিন ধরে। গতকাল একটি টিভি চ্যানেলের পর আজ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে বিজেপির সভামঞ্চ থেকে প্রকাশ্যে এই কথা বলে বাঙালি জাতির সংগঠন বাংলা পক্ষের নামে নির্লজ্জ মিথ্যাচার করতে দেখা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটে এক প্রতিবাদী সভা ও সাংবাদিক সম্মেলন থেকে বাংলা পক্ষ শুভেন্দু অধিকারীর এই কুৎসার বিরুদ্ধে গর্জে উঠল। চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিল শুভেন্দু অধিকারীর দিকে। সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় র্যাগিং এবং হত্যার এই মর্মান্তিক ঘটনার তদন্তকে গুলিয়ে দিতেই শুভেন্দু অধিকারীর এইসব অবান্তর কথা। বাংলা পক্ষ প্রথম থেকে র্যাগিং এর বিরুদ্ধে সোচ্চার। স্বপ্নদীপের খুনীদের শাস্তির দাবিতে লড়ছে বাংলা পক্ষ। জেলার ছেলেমেয়েদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হেনস্থা ও অত্যাচার করা চলবে না।
সংগঠনের সাধারন সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন ” বাংলা পক্ষ বিজেপির আসল রূপ বাঙালির সামনে তুলে ধরছে বলেই ওদের এত সমস্যা। WBCS এ বাংলা ভাষা বাধ্যতামূলক করার বিরোধিতা করায় রাজ্য জুড়ে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ব্যানার লাগায় বাংলা পক্ষ। যাদবপুরে বাংলা পক্ষর আন্দোলনে ৯০% ভূমিপুত্র সংরক্ষণ চালু হওয়ায়, বহিরাগতদের দিয়ে ABVP র জমি তৈরীর চেষ্টাও ব্যর্থ হয়। এই সবের সম্মিলিত রাগেই বাংলা পক্ষর নামে এই ধরনের ভিত্তিহীন অপপ্রচার। তাকে ধিক্কার জানাই”। তিনি আরও বলেন অবিলম্বে শুভেন্দু অধিকারীকে এই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে বাঙালির কাছে।
বাংলা পক্ষর সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেন ” স্বপ্নদীপের হত্যার তদন্ত দ্রুত শেষ করতে হবে। জেলার ছেলেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে ক্যাম্পাসে। যাদবপুর বাংলার গর্ব, এই প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ দ্রুত নিতে হবে”
সভার শেষে শুভেন্দু অধিকারীর মিথ্যাচারের প্রতিবাদে, তদন্তকে বিভ্রান্ত করার প্রতিবাদে যাদবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানায় বাংলা পক্ষর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায়।
সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলা পক্ষর ছাত্র শাখা- বাংলা ছাত্র পক্ষ দ্রুত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পথচলা শুরু করবে। যাদবপুরের পরিবেশ যাতে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির মত হয়, তার জন্য উপযুক্ত মডেল অনুসরণ করতে হবে।
সংগঠনের পক্ষে শতাধিক সদস্য- সহযোদ্ধা এদিন উপস্থিত ছিলেন।