|
---|
খান আরশাদ, বীরভূম।
জেলার প্রাচীন রাজধানী তথা জেলার সীমান্তবর্তী অঞ্চল রাজনগরে পালিত হল পবিত্র ইদুজ্জোহা। আজ থেকে কয়েক হাজার বছর আগে আল্লাহ তাঁর পয়গম্বর হজরত ইব্রাহীমকে আদেশ করেন তাঁর নিজ পুত্র ইসমাইলকে কুরবানি করতে। আল্লাহর ইচ্ছা পূরণের জন্য স্বীয় পুত্রকে কুরবানি দিতে উদ্যত হলে অলৌকিক ভাবে ইসমাইলের স্থলে একটি দুম্বা কুরবানি হয়ে যায়। এই ঘটনাই ইহুদী ধর্মগ্রন্থ “তৌরাতে”ও উল্লেখ আছে। এই ঘটনাকে স্মরণ করেই সমগ্র মুসলিম বিশ্বে দিনটি যথাযথ মর্যাদার সাথে পালন করে থাকেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। যা ইদ-উল-আযহা নামে পরিচিত। এর অর্থ “ত্যাগের উৎসব “।
আরবি জ্বিলহজ্জ মাসের ১০ তারিখ এই ইদ-উল-আজহা বা বকরিদ সারা মুসলিম বিশ্বের পাশাপাশি জেলার প্রান্তিক অঞ্চল রাজনগরেও যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালিত হল। রাজনগরের বড়বাজারের ইদগাহে আয়োজিত এদিন বকরিদের নামাজে অংশ নেন স্থানীয় বেশ কয়েক হাজার ধর্মপ্রান মুসলিম। নামাজের শেষে রাজনগর থানার ওসি সঞ্চয়ন ব্যানার্জী সকলের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। রাজনগর শান্তি কমিটির সম্পাদক প্রদীপ দে ও সমাজসেবী প্রানতোষ ওঝা নামাজীদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। রাজনগর পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধক্ষ্য তথা রাজনগর ব্লক তৃনমূল কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন সুকুমার সাধু এবং বিডিও অলোক মৌলিক ইদুজ্জোহা উপলক্ষে সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং সকলকে সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানান।
অপর দিকে রাজনগর এলাকার আড়ালী, খোদাইবাগ, ইদগাছা, কানমোড়া, মুর্গাথলি সহ বিভিন্ন গ্রামের ইদগাহ ও মসজিদে ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা যথাযথ মর্যাদার সাথে ইদুল-আজহার নামাজ আদায় করেন।
এদিন সকাল থেকেই গোসল সেরে নতুন পোশাক পরে নামাজের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন মসজিদ ও ইদগাহে পৌঁছান মুসুল্লিরা। সাথে কচি কাঁচারাও রংবেরংয়ের জামা কাপড় পড়ে বড়োদের সাথে নামাজ আদায়ের জন্য ইদগাহ ও মসজিদে যায়। নামাজ শেষে একে অপরের সাথে সালাম ও শুভেচ্ছা বিনিময় করে। এদিন বিভিন্ন জায়গায় নামাজের খুতবার সময় ইমামগন সকলকে সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানান। হিন্দু মুসলিম একে অপরের সাথে সৌভাতৃত্ব গড়ে তোলারও কথা বলেন তাঁরা।