|
---|
নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: 26 জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসে লালকেল্লায় হামলাকারী ধর্মেন্দ্র সিং হারমানকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই ধর্মেন্দ্র সিং-ই প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন হামলাকারীদের লালকেল্লায় ধর্মীয় পতাকা ওড়ানোর জন্য প্ররোচিত করেন। এমনকি এও জানা গিয়েছে যে তিনি লালকেল্লায় ধর্মীয় পতাকা ওড়ানোর ও জাতীয় পতাকার অপমানের ভিডিও নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে লাইভ ভিডিও করে প্রচার করেন। অভিযুক্ত ব্যক্তি দিল্লির অর্জুননগরের বাসিন্দা ও অখিল ভারতীয় পরিবার পার্টির একজন সদস্য।
প্রজাতন্ত্র দিবসের একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় যে ধর্মেন্দ্র সিং হারমান একটি গাড়ির উপরে বসে আছেন ও হামলাকারী দলকে উস্কানি দিচ্ছেন, তারা যাতে লালকেল্লায় প্রবেশ করে ও ধর্মীয় পতাকা উড়িয়ে দেয়। অন্য একটি ভিডিওতে পরিষ্কার দেখা গিয়েছে যে তিনি নিজেই হামলাকারীদের দলে সামিল হয়েছেন ও লালকেল্লা আক্রমণ করছেন। এরপরই দিল্লি পুলিশের স্পেশাল তদন্তকারী দল তাঁকে গ্রেফতার করে।
প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন হাজারব হাজার হামলাকারী কৃষকের ছদ্মবেশে দিল্লিতে প্রবেশ করে। এরা এরপর ব্যারিকেড ভেঙে, পুলিশের বাধা অতিক্রম করে লালকেল্লায় প্রবেশ করে ও জাতীয় পতাকার জায়গায় নিজেদের ধর্মীয় পতাকা উড়িয়ে দেয়। চূড়ান্ত অপমান হয় জাতীয় পতাকার। এই হামলাকারীদের অনেকেই পুলিশদের আক্রমণ করে। এর জেরে প্রায় ৪০০ পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, পুলিশের হাতে সেদিনের ঘটনার ১৭০০টিরও বেশি ভিডিও ক্লিপ ও সিসিটিভি ফুটেজ এসেছে। এই ভিডিও ফুটেজগুলি এবার ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের পাঠানো হয়েছে। তাঁরা দোষীদের চিহ্নিত করার পরই তাদের আটক করবে পুলিশ, এমনটাই জানা গিয়েছে।
এমনকি পুলিশ এই প্রজাতন্ত্র দিবসের হামলার মূল পাণ্ডা খালস্তানি সমর্থক দীপ সিধুকে গ্রেফতার করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এই কারণে পুলিশের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে যে তাকে যে ধরে দিতে পারবে, তাঁকে ১ লক্ষ টাকার পুরস্কার দেওয়া হবে। গত সপ্তাহেই পুলিশের তরফ থেকে সাধারণ মানুষ ও সংবাদকর্মীদের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে যে, তাদের কাছে এদিনের হামলার যা ভিডিও রয়েছে সেগুলো যেন তাঁরা পুলিশকে জমা দেন।