খরা প্রবণ এলাকা পুরুলিয়াতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে সিএডিসি

নিজস্ব সংবাদদাতা : খরা প্রবণ এলাকা পুরুলিয়াতে বৃষ্টির পরিমাণ কম হওয়ার কারণে মাছ চাষ খুব বেশি হয় না। ‌মূলত বর্ষার সময় তিন মাস মাছ চাষ করা হয়। তবে এবার সিএডিসির তত্ত্বাবধানে অযোধ্যা পাহাড়ের কুমারী কানুন প্রজেক্টের আওতাধীন এলাকায় বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করা হচ্ছে। ‌তার অন্যতম গিফট তেলাপিয়া। বিপুল হারে এই তেলাপিয়া মাছ চাষ করে তাক লাগিয়ে দিচ্ছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা।একটি বিশেষ পদ্ধতিতে এই মাছ চাষ শুরু হয়েছে। ‌বড় পুকুরের মধ্যে একটি খাঁচা তৈরি করে সেই খাঁচার মধ্যে গিফট তেলাপিয়া মাছ চাষ করা হচ্ছে। ‌এই প্রথম খাঁচার মধ্যে মাছ চাষ ও সংরক্ষণ করা হচ্ছে সিএডিসিতে। স্থানীয় বাজারগুলিতে এই মাছের চাহিদা বেশি থাকার কারণেই খাঁচার মধ্যে মাছ চাষ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এই বিষয়ে সিএডিসি আধিকারিক সুশান্ত খাটুয়া বলেন, সম্প্রতি একটি নতুন প্রজাতির গিফট তেলাপিয়া মাছ এসেছে। ‌এই মাছ খেলে কোন‌ও শারীরিক ক্ষতি হচ্ছে না। এই মাছের চাহিদা অনেকটাই বেশি থাকার কারণে গত বছর থেকে খাঁচার মাধ্যমে মাছটি চাষ করা হচ্ছে। ‌এই খাঁচা তৈরি করতে প্রায় ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়েছিল। প্রতিদিন প্রায় এক কুইন্টাল করে গিফট তেলাপিয়া মাছ এই খাঁচা থেকে তোলা হয়। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা স্থানীয় বাজারগুলিতে এই মাছগুলি বিক্রি করেন। এই মাছের দাম তুলনামূলক কম থাকার কারণে বহু মানুষ এই মাছ কিনতে আগ্রহী হন।খরা প্রবণ এলাকা পুরুলিয়াতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে সিএডিসি। তার মধ্যে খাঁচায় মাছ চাষের এই বিষয়টি ইতিমধ্যেই জেলাজুড়ে সাড়া ফেলেছে। এর ফলে মাছ উৎপাদনে অনেকটাই স্বনির্ভর হয়ে উঠছে পুরুলিয়া জেলা।